বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

উপকূলে ১৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৭ মে ২০২৪, ২৩:১৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন। যার প্রভাব পড়েছে মুঠোফোন সেবায়। অপারেটরদের টাওয়ারগুলোতে বিদ্যুৎ নেই।

জেনারেটর দিয়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে তাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নের কারণে এসব এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, নেটওয়ার্ক দ্রুত ফিরিয়ে আনতে মোবাইল অপারেটররা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে দেশের উপকূলে আঘাত করে, যার প্রভাব এখনো রয়েছে। রিমাল দুর্বল হয়েছে কিন্তু ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি সমানতালে চলছে। উপকূলীয় ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অনেক এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বাগেরহাটের শরণখোলার তাফালবাড়ি এলাকার নাজমুল বলেন, ‘আমাদের এলাকা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সব সময় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক সচল রাখা হয়। কিন্তু জেনারেটর ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর নির্ভর করছে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়।

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, নেটওয়ার্ক সচল রাখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও কন্ট্রোল রুম গঠন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দ্রুত নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য তাঁরা কাজ করছেন।

বাংলালিংকের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান তাইমুর রহমান বলেন, জেনারেটর ও ব্যাটারি দিয়ে নেটওয়ার্ক সেবা চালু রাখা হচ্ছে। তবে জেনারেটর ও ব্যাটারির সর্বোচ্চ সক্ষমতা ৮-১০ ঘণ্টা হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত নেটওয়ার্ক সেবা চালু করতে তাঁরা কাজ করছেন।

এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের ৪৫টি জেলায় ৮ হাজার ৪১০টি সাইট (মোবাইল টাওয়ার) অকার্যকর ছিল। আর ২১টি জেলায় বিটিসিএলের (পিএসটিএন) ৬৫টি সাইট অকার্যকর রয়েছে। এ ছাড়া ১৫টি জেলায় এনটিটিএনের ১৬৮টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স-গ্রাহকদের ইন্টারনেট সংযোগের কেন্দ্র) বন্ধ রয়েছে।

বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় গাছ ভেঙে পড়া, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ইন্টারনেট কেব্‌লে ক্ষতির কারণে শতাধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় আইএসপিদের ৩২০টি পপের মধ্যে ২২৫টি অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। উপকূলের প্রায় তিন লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত আছেন।

জরুরি সেবা হিসেবে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিতে উপকূলীয় জেলাসহ ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে দ্রুত বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মুস্তাফিজুর রহমান।

মন্তব্য করুন