বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

ইরানে ২ বছর পর ফিরলো হোয়াটসঅ্যাপ

আইটি ডেস্ক
  ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০১
ছবি-সংগৃহীত

বিতর্কিত হিজাব আইন প্রত্যাহারের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আরও এক ‘সংস্কার’ ইরানে। এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়া হল হোয়াটস্‌অ্যাপ এবং গুগল প্লে-র উপর নিষেধাজ্ঞা। 

ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ জারির ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যে একটি ইরান। গত দু’বছর ধরে সেখানে হোয়াটস্অ্যাপ এবং গুগল প্লে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান।

ইরানের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রভাব অতীতে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। সে দেশের মহিলাদের পোশাক বিধি থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রেই সরকারি নীতি নির্ধারণে এই প্রভাব দেখা যায়। বর্তমানে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসাবে রয়েছেন আলি খামেনেই। 

ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির যাঁরা নিবিড় পর্যবেক্ষক, তাঁদের একাংশের মতে সেখানকার প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান একজন ‘সংস্কারমুখী’ রাজনীতিক হিসাবেই পরিচিত।

বিতর্কিত হিজাব আইন প্রত্যাহারের নেপথ্যেও তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বলে মনে করতে শুরু করেছে অনেকে। ওই আইন প্রত্যাহারের এক সপ্তাহের মাথায় ইন্টারনেটের কড়াকড়িও শিথিল করার পথে এগোতে শুরু করল ইরান।

ইরানের হোয়াটস্‌অ্যাপ, গুগল প্লে-র উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ শিথিলের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে আরও একটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরানে হোয়াটস্অ্যাপ বা অন্য সমাজমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। 

প্রযুক্তিগত দিক থেকে পারদর্শী ইরানিরা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে অনায়াসেই সমাজমাধ্যম ব্যবহার করতেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপ সে ভাবে কার্যকর হচ্ছে না বুঝতে পেরেই কি ইরানের প্রশাসন তা প্রত্যাহার করে নিল? এমন প্রশ্নও উঁকি মারতে শুরু করেছে।

যদিও ইরান প্রশাসনের ইঙ্গিত, তারা ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের উপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে চাইছে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ)-কেও সেই আভাস দিয়েছেন সে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী সাত্তার হাশেমি। এটিকে ‘ইন্টারনেটের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহারের প্রথম পদক্ষেপ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

মন্তব্য করুন