বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে খসলো ২০ লাখ ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০

১০ থেকে ২০ লক্ষ ডলার খরচ করে ফেললেই আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নৈশভোজের দুর্দান্ত সুযোগ। 

তার আগে ‘ওয়ার্ম আপ’ হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা ভান্সের সঙ্গেও সুযোগ মিলবে নৈশাহারের। রিপাবলিকান সমর্থকদের জন্য এমনই অভূতপূর্ব প্রস্তাব রাখা হয়েছে আমেরিকায় নতুন প্রেসিডেন্টের আসন্ন শপথগ্রহণ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রচারে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই পরিমাণ অর্থ উদ্বোধনী তহবিলে দান করলেই ট্রাম্প ও মেলানিয়ার সঙ্গে ‘বিশেষ ও ঘনিষ্ঠ’ নৈশভোজের সুযোগদেওয়া হবে সমর্থকদের। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এই নৈশভোজের অনুষ্ঠান হবে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি। 

তার ঠিক পরের দিন,অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প, ফার্স্ট লেডি হবেন মেলানিয়া। ভান্স দম্পতির সঙ্গে নৈশভোজের তারিখ ১৮ জানুয়ারি। শুধু তা-ই নয়, ১৭ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত শপথগ্রহণ-সহ মোট আটটি অনুষ্ঠানের আধ ডজন টিকিটও মিলবে ওই পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে।

ভাবী প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির সঙ্গে এই নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে ‘পিনাকল ইভেন্ট’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব ক’টিতেই মেলানিয়া থাকবেন কি না, তার এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়েও তিনি মাত্র কয়েকটি কর্মসূচিতেঅংশগ্রহণ করেছিলেন। 

দলের মধ্যে চর্চা, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পরেও খুব একটা সামনে আসবেন না মেলানিয়া। ফ্লরিডা ওনিউ ইয়র্কের মধ্যে যাতায়াত করবেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়ার ছোট ছেলে ব্যারন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ছেলের জন্যই নিউ ইয়র্কে হয়তো বেশি সময় কাটাবেন মেলানিয়া। অবশ্য প্রয়োজন অনুসারে হোয়াইট হাউসেওআসবেন তিনি।

এ বছর প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী তহবিলের কমিটির মাথায় রয়েছেন স্টিভন উইটকফ। তাঁকে সাহায্য করছেন জর্জিয়ার প্রাক্তন রিপাবলিকান সেনেটর কেলি লোয়েফলার। স্টিভন নিজে গত দশ বছরে ট্রাম্পের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে কম করেও ২০ লক্ষ ডলার দান করেছেন।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভাবী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি অকুণ্ঠসমর্থন জানাতেই তাঁর উদ্বোধনী তহবিলে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান করে থাকেন তাঁর উচ্চবিত্ত সমর্থক ও বিভিন্ন সংস্থা। 

আর এই বিপুল অনুদানের পিছনেই থাকে চার বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা ও সমর্থন পাওয়ার অলিখিত চুক্তি। অন্য বারের মতো এ বারেও ট্রাম্পের তহবিলে আর্থিক অনুদানের নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। তবে, দুর্নীতি রুখতে অনুদানের পরিমাণ দু’শো ডলারের বেশি হলে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে হবে।

২০১৬ ও ২০১৭ সালে ট্রাম্পের উদ্বোধনী তহবিলে মোট ১০.৭ কোটি ডলার জমা পড়েছিল। পরে তদন্তে জানা যায়, এই অর্থের অনেকটাই বিদেশ থেকে অবৈধ ভাবে জমা পড়েছিল। এই দুর্নীতিতে এক জন দাতার ১২ বছরের জেলও হয়। এ বছরও যাতে সেই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন