শপথ নিতে এখনও মাসদুয়েক দেরি। তবে কালবিলম্ব না করে নিজের ক্যাবিনেট সাজাতে শুরু করেছেন ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী দিনে যে দফতরের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে তা হল সরকারি দক্ষতা নিরীক্ষণ বিভাগ (ডিওজিই)।
আর ট্রাম্প এই দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর আস্থাভাজন টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীকে। ভবিষ্যতে সরকারি কৌশল নির্ধারণে মাস্ক ও রামস্বামী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন বলে মনে করছে আমেরিকার রাজনৈতিক মহল। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার নেওয়ার আগেই সরকারি ক্ষেত্রে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন রামস্বামী।
তিনি জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক আমলা, যাঁরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত— তাঁদের রাজধানীর আমলাতন্ত্র থেকে বার করে দেওয়া হবে। রামস্বামীর কথায়, দেশকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপ করতেই হবে। পাশাপাশি ফ্লরিডার সভা থেকে ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত জানান, তিনি এবং মাস্ক সরকারের মেদ কমাতে বড়সড় ঘা মারতে চলেছেন।
তাঁদের দফতর কী কাজ করছে, আমেরিকানদের তা জানাতে সাপ্তাহিক কাজের বিশ্লেষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। শুধু সরকারের মেদ কমানোই নয়, যাবতীয় কাজকর্মে স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই কাজের খতিয়ানের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, জানান রামস্বামী।
ভোটের প্রচারে ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এবং ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ স্লোগান দিয়ে আমেরিকানদের মন জয় করেছেন, এমনটা মনে করা হচ্ছে। ভোটে জেতার পরেই বিপুল ছাঁটাইয়ের বার্তা দিয়ে সেই মোহভঙ্গ হতে পারে বলেও মত অনেকের।
এ দিকে ট্রাম্প ক্যাবিনেটে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে বেছে নেওয়া পিট হেগসেট-কে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। ২০১৭ সালে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। যদিও ট্রাম্পের সেই জমানায় পিটের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। শুধু যৌন হেনস্থার অভিযোগই নয়, প্রতিরক্ষা দফতরের দায়িত্বভার তিনি সামলাতে পারবেন কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
হোয়াইট হাউসে কমিউনিকেশন-এর প্রধান হিসেবে স্টিভেন চাংয়ের নাম প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য স্টিভেনই সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব হতে চলেছেন ২৭ বছর বয়সি ক্যারোলাইন লেভিট। ট্রাম্প তাঁকে স্মার্ট, শক্তিশালী এবং কার্যকরী বলে উল্লেখ করেছেন।
মন্তব্য করুন