আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের নেপথ্য কারিগর হিসেবে তাঁর নাম উঠে এসেছিল আগেই। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ইলন মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে বন্ধুত্বে সিলমোহর দিলেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তাঁর সরকারের বিশেষ উপদেষ্টা দফতরের দায়িত্বে থাকবেন মাস্ক। ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে ওই দফতরের দায়িত্বে ইলনের পাশাপাশি থাকছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোগপতি, বিবেক রামস্বামী। তাঁরা যৌথ ভাবে দায়িত্ব সামলাবেন।
গত কাল একটি বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমেরিকার দুই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব একসঙ্গে আমার সরকারে কাজ করবেন। আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে, অপ্রয়োজনীয় লাল ফিতের ফাঁস কমিয়ে, অযথা খরচ কমিয়ে সরকারি সংস্থাগুলির পুনর্নিমাণ করবেন— মহান আমেরিকার স্বপ্ন পূরণের জন্য যা অত্যন্ত জরুরি।’
তবে বিবেক এবং মাস্ক দু’জনেই বিনিয়োগপতি হওয়ায় তাঁদের নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অর্থনৈতিক ভাবে ব্যক্তিগত এবং সরকারি স্বার্থের সংঘাত হবে না তো? ট্রাম্পের আশ্বাস, দফতরটির নামে ‘সরকারি’ হলেও, এটি বাইরে থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবে। দফতরটি নতুন।
সেপ্টেম্বর মাসে এই দফতর তৈরির প্রস্তাব পেশ করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও সেটি কী ভাবে কাজ করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত কাল ট্রাম্প জানিয়েছেন, অর্থনীতিকে নতুন করে সাজাতে ওই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিবেকও ট্রাম্পের আস্থাভাজন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এ বার রিপাবলিকানদের প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে টক্কর দিয়েছিলেন তিনি। নিজের প্রচারেও অযথা খরচ কমানোর কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
এর পাশাপাশি, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমেরিকান গোয়েন্দা দফতর সিআইএ-র প্রধান হিসেবে জন র্যাটক্লিফের নাম ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম জমানায় জন জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের ডিরেক্টরের পদ সামলেছেন।
তবে অভিযোগ, জো বাইডেন-সহ ট্রাম্প-বিরোধীদের আক্রমণ করতে সেই সময়ে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি। তাই তিনি ট্রাম্পের পছন্দ হলেও সেনেটের অনুমোদন মেলার পরে সিআইএ প্রধান হিসেবে জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
মন্তব্য করুন