বিশ্বে যেসব যুদ্ধ চলছে, তা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচনে জয়লাভের পর ফ্লোরিডায় দেওয়া এক ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বুধবার ফ্লোরিডার ওয়েন্ট পাম বিচে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে ট্রাম্প বলেন, আমার প্রথম কাজ হবে যুদ্ধ বন্ধ করা। আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না। আইএসকে পরাজিত করা ছাড়া চার বছর ধরে আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। ডেমোক্র্যাটরা বলেছিল, আমি নাকি যুদ্ধ শুরু করবো। আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, বরং যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহী নজর ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের। যুদ্ধরত দেশ দুটি গভীরভাবে এই নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। মূলত ট্রাম্পের জয় চেয়েছিল রাশিয়া। কারণ তিনি জিতলে, ইউক্রেনকে সহায়তা করার প্রবণতা কমে যেতে পারে ও যুদ্ধে এর প্রভাব পড়বে রাশিয়ার পক্ষে।
এমনকি ট্রাম্পও বলেছেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতায় গেলে তিনি সহায়তা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য করতে পারেন। এতে করে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা পেয়ে যাবে রাশিয়া।
এ বিষয়ে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আইয়ান ব্রেমার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ইউক্রেনীয়দের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ ট্রাম্পের জয় অবিলম্বে মার্কিন নীতি অভিমুখী পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে ও আলোচনার জন্য কিয়েভের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করবে। এর অর্থ ইউক্রেনীয়দের শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তারা তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থককে হারাতে চায় কি না।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বন্ধ হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে। যদিও আজকের বক্তব্যে কোনো যুদ্ধের কথাই সরাসরি উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
তবে বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্প জিতলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বদলে যেতে পারে। যদিও দুই প্রার্থীই ইসরায়েলকে সমর্থন ও আর ইরানকে হুমকি দিয়েছেন। তবে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। কারণ তিনি নিজেকে ইসরায়েলের ‘রক্ষাকর্তা’ ঘোষণা করেছেন।
মন্তব্য করুন