যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ইতোমধ্যেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের আভাস পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প ম্যাজিক ফিগারের একদম কাছাকাছি আছেন।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন ২২৪টিতে।
এদিকে ইলেকটোরাল ভোটে ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছে থাকার খবর পাওয়ার পর পরই সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে জয়ী হলে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের মসনদে বসবেন ট্রাম্প। তাই তার উচ্ছ্বাস একটু বেশিই বলা যায়।
ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করার পরপরই বিশ্বের অনেক নেতাই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন নেতারা তার জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, এটা ‘ঐতিহাসিক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তন’। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউজে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য একটি নতুন সূচনা। তিনি ইসরায়েল ও আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি একে বড় ধরনের জয় বলেও উল্লেখ করেছেন।
এদিকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানও একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্পের জয়কে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে বড় ধরনের প্রত্যাবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের জন্য এই জয় প্রয়োজন ছিল।
অপরদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টার্মার বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে আছেন। তিনি ট্রাম্পের এই জয়কে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক জয় বলে উল্লেখ করেছেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভেনিয়াতেও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যের ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে মোট ২৬৭টি ভোট নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তার জয়কে বেশ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ফলে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল নিতে ট্রাম্পের দরকার আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যেন আর অপেক্ষা করতে পারছেন রিপাবলিকান সমর্থকরা। এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করেছেন তারা।
মন্তব্য করুন