বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

এক ঘণ্টার মধ্যে দু’বার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল কিউবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭

পর পর দু’বার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ক্যারিবিয়ান দেশ কিউবা। প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ছিল ৫ দশমিক ৯। আর দ্বিতীয় কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৮ মাত্রার। স্থানীয় সময় রোববার (১০ নভেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বা কোনও ধরনের হতাহতেরও খবর পাওয়া যায়নি।

তবে বেশ কিছু ভবন ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে দক্ষিণ কিউবা কেঁপে উঠেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কম্পনের জেরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার কিউবায় প্রথম যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৫.৯। গ্রানমা প্রদেশের বার্তোলোম মাসো উপকূল থেকে ২৫ মাইল দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল।

প্রথম ভূমিকম্পের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয় দেশটিতে। এবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগের ভূমিকম্পটির আশপাশেই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের উৎসস্থল।

কিউবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখনও প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি, তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ভূমিধসের ফলে বাড়িঘর এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সান্তিগো ডি কুবা এবং গ্রামনা এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য কাজ শুরু করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমিকম্পে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মূলত পরপর শক্তিশালী ভূমিকম্পে জোরালোভাবে কেঁপে ওঠে গোটা দ্বীপরাষ্ট্রটি। বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, যখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়, তখন মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না। সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ছিল।

মন্তব্য করুন