বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না: রূপা হক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১৭:২৫
ছবি- সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন শেখ হাসিনা।

এরপর গণভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন তিনি। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন।

শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে দেশটির ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সংসদ সদস্য রুপা হক বলেছেন, তার সরকারের এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে এক নিবন্ধে তিনি তার মত তুলে ধরেন।  লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রুপা হকের লেখাটি বৃহস্পতিবার দ্য স্ট্যাডার্ড প্রকাশ করেছে। 

তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ কতটা ‘বিশৃঙ্খল’ ছিল তা নিয়ে গেয়েছিলেন জর্জ হ্যারিসন। গত সপ্তাহে তিনি আবার সঠিক প্রমাণিত হলেন। সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো ঘটনার প্রতিফলন দেখা গেল, জাতির পিতার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, কুশপুতুল পোড়ানো হলো, যা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট (যুক্তরাজ্যের একটি পৌরসভা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, ’স্বৈরাচারী’ কন্যা শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার বাবার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)।

রূপা হক লিখেছেন, অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন সপ্ততিপরবৃদ্ধাই নন, ’বর্বর’ শাসকও। সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন।

৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। সেই থেকে তারা ভারতেই আছেন।

ভারত থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন— এমন খবর দিতে থাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলেও খবর আসে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কোনো তথ্য দেননি।

রূপা হক লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

শেষে রূপা হক লিখেছেন, আমার বাংলাদেশি ভাই-বোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সরকার নিয়ে কণ্ঠ তুললেই নিপীড়নের শিকার হওয়ার ভয়ের সংস্কৃতি আর নেই। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। তবে পতিত শিবির বলছে, তারা স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছিল।

মন্তব্য করুন