মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকার তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি নিঃসন্দেহে উষ্ণ আবহাওয়া হলেও গত এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের তুলনায় যেন কিছুই না।
ওই সময় দেশের বিভিন্ন অংশ নিয়মিত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। খোদ রাজধানীতেও ৩৭-৩৮ ডিগ্রি ছিল রোজকার তাপমাত্রা।
সেই অভাবনীয় তাপ সহ্য করা মানুষদের সামনে যদি বলা হয়, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মানে ভয়ানক গরম, তাহলে হাসি তো আসতেই পারে! কারণ এ দেশে অনেকের এয়ারকন্ডিশনের (এসি) তাপমাত্রাই থাকে ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ, যুক্তরাজ্যে তার থেকে মাত্র এক ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রাকে বলা হচ্ছে ‘ভয়ংকর তাপপ্রবাহ’!
গত সপ্তাহে আবহাওয়া সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের শিরোনাম ছিল, ‘ইউকে ওয়েদার: ফোরটি এইট আওয়ার টোয়েন্টি সিক্স ডিগ্রি সেলসিয়াস হিটওয়েভ টু হিট অ্যান্ড ফাইভ ইংলিশ সিটিস উইল বি দ্য হটেস্ট’।
অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহ আঘাত হানবে এবং ইংল্যান্ডের পাঁচটি শহর থাকবে সবচেয়ে উষ্ণ।
খবরে বলা হয়, জুন মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে একটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনেকেই, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষজন। সেখানে উঠে এসেছে মজার মজার সব মন্তব্য।
একজন লিখেছেন, ভারতে এটি (২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এসির তাপমাত্রা। আরেকজন বলেছেন, আমার এসির তাপমাত্রা এখন যুক্তরাজ্যের তাপপ্রবাহের স্তরে রয়েছে। তৃতীয় এক ব্যক্তি লিখেছেন, কারও তাপপ্রবাহ, কারও ঘরের তাপমাত্রা।
দুই অঞ্চলের আবহাওয়ার এমন পার্থক্যের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ। যুক্তরাজ্যের শীতপ্রধান আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, সেখানে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরামদায়ক উষ্ণতা অনুভূত হবে, কিন্তু ভারতে প্রচণ্ড ঠান্ডা মনে হতে পারে। একইভাবে, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ভারতে যেমন আনন্দদায়ক, তা যুক্তরাজ্যে একেবারেই অসহনীয়।
মন্তব্য করুন