ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মীরা। পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজি বারুথা, মিয়ানওয়ালি, হাজারা মোটরওয়ে ও অন্যান্য স্থানে পুলিশ পোস্ট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হামলায় এসপি, ডিএসপি এবং এসএইচওসহ ২০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পিটিআইয়ের এই আন্দোলন প্রতিবাদের পরিবর্তে সশস্ত্র সন্ত্রাসের চেষ্টা।
মরিয়ম নওয়াজ বলেন, বিক্ষোভকারীদের হাতে শর্ট মেশিনগান, কাঁদানে গ্যাস, ছুরি ও মুখোশও দেখা গেছে। এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে যা শুধু পুলিশের কাছেই থাকে।
পিএমএল-এন নেত্রী বলেন, অতীতে সংঘর্ষ এড়াতে পাঞ্জাব পুলিশকে নিরস্ত্র রাখা হয়েছিল এবং পুলিশ এখনও নিরস্ত্র ছিল। এক প্রদেশের পুলিশের ওপর আরেক প্রদেশের হামলা জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেওয়ার শামিল।
উল্লেখ্য, পিটিআই কর্মীরা কনভয়ে করে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন এবং খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আসা কনভয়গুলো গত রাতে ও আজ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের মুখোমুখি হয়েছে।
কারাগারে থেকেই ২৪ নভেম্বর ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভের’ ডাক দেন ইমরান খান। তার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই রাস্তায় নেমেছে সমর্থরা।
ফলে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দমাতে ইসলামাবাদ পুলিশ বিভিন্ন গেস্টহাউস, হোস্টেলে অভিযান চালিয়েছে। এসব জায়গা থেকে পিটিআইয়ের সমর্থক-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এছাড়া ইসলামাবাদের দিকে যাওয়া পিটিআইয়ের বিভিন্ন কনভয় আটকে দেওয়া হয়েছে। ইমরান খানের ডাকা এই বিক্ষোভ রুখে দিতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
মন্তব্য করুন