বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লাদেনের ছেলেকে স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ ফ্রান্সের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ও গোষ্ঠীটির সাবেক শীর্ষ নেতা ওসামা বনি লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে (৪৩) স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে ফ্রান্সের সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতেইল্যু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ব্রুনো জানান, ওমর বিন লাদেনকে শিগগিরই ফ্রান্স ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আর কখনও তাকে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

পোস্টে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মন্তব্য তিনি করেছিলেন, যেগুলো সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এ ব্যাপরে অভিযোগ আসার পর ওর্নির আইনশৃঙ্খলা বিভাগ সেটির তদন্ত করে এবং অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এর প্রেক্ষিতেই তাকে ফ্রান্স ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে তিনি যেন আর এই দেশে প্রবেশের চেষ্টা না করেন, কারণ তাকে আর ফ্রান্সে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”

ওসামা বিন লাদেনের মোট ২৪ জন সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ওমর তাদের মধ্যে একজন। তার মা নাজওয়া ঘানেম সিরিয়ার নাগরিক এবং ওসামা বিন লাদেনের প্রথম স্ত্রী। নাজওয়া-লাদেন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় ওমরের জন্ম সৌদি আরবে।

১৯ বছর বয়সে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার। বাবার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পর কয়েক বছর সুদান এবং তারপর আফগানিস্তানে ছিলেন ওমর। ২০১৬ সালে তিনি ফ্রান্সে বসবাসের অনুমতি পান এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জেলা নরম্যান্ডির ওর্নি গ্রামে থিতু হন।  ছবি আঁকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ওমর। পাশাপাশি অল্পবিস্তর লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। ‘গ্রোয়িং আপ বিন লাদেন’ নামে ২০১৯ সালে একটি বইও প্রকাশ করেছেন।

২০০৭ সালে নিজের চেয়ে ২০ বছরের বড় এক ব্রিটিশ নারীকে বিয়ে করেন ওমর বিন লাদেন। জেন ফেলিক্স ব্রাউন নামের ওই নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেছিলেন ওমর। কিন্তু তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলে ব্রিটেনের কর্তৃপক্ষ। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য করুন