বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ড্রাগন ড্রোনে পুড়লো রাশিয়ার খারকিভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:২৭
ছবি- সংগৃহীত

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বিরামহীন যুদ্ধ চলছে। হামলা-পালটাহামলায় যেন মেতে উঠেছে দুই দেশ। কখনো রাশিয়া, কখনো আবার ইউক্রেন- পাল্লা দিয়ে চালাচ্ছে বড় বড় হামলা। 

এর মধ্যেই আবারও রাশিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালাল ইউক্রেন। রাশিয়া অধিকৃত খারকিভ অঞ্চলে আগুন ঝরাল দেশটির ড্রাগন ড্রোন। পুড়িয়ে দিল গাছপালা। এমনকি বেশ কিছু রুশ সেনার গাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে ড্রাগনের অগ্নিবর্ষণের ছবি ও ভিডিও। শনিবার সিএনএন’র খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরনে গ্রুপ নামের এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে ড্রোনের থার্মাইট (অ্যালুমিনিয়াম পাউডার এবং আয়রন অক্সাইডের মিশ্রণ) বর্ষণের দৃশ্য। পুড়ে যাওয়ার সময় এই বস্তুটি অত্যন্ত বেশি তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ড্রোনের মুখ থেকে সেটি বর্ষিত হলে সামনে যা পায় সব কিছুকে পুড়িয়ে দেয়। 

এক কথায় আড়াই হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা তৈরি করতে পারে। ইউক্রেন সেনার তরফেও এই ড্রোন হামলার ফুটেজ শেয়ার করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘স্ট্রাইক ড্রোনগুলো আমাদের প্রতিশোধের পাখা, যা সরাসরি আকাশ থেকে আগুন বৃষ্টি করতে পারে। শত্রুদের কাছে যা এক সত্যিকারের বিপদ হয়ে উঠেছে। অন্য কোনো অস্ত্র এত নিখুঁতভাবে পুড়িয়ে দিতে পারে না।’

এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধগ্রুপ নর্থের গ্র্যাড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম সীমান্তের কাছে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অবস্থান ধ্বংস করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যাটলগ্রুপ নর্থের গ্র্যাড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের ক্রুরা ফায়ারপাওয়ার মিশন চালানোর সময় কুরস্ক অঞ্চলে সীমান্তের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থান ধ্বংস করেছে। 

মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরোয়ার্ড রিকনেসান্স গ্রুপ এবং মনুষ্যবিহীন বিমানের সহযোগিতায় গ্র্যাড ক্রুরা শত্রুর অবস্থান, দুর্গ এবং পর্যবেক্ষণ পোস্টগুলোতে হামলা চালায়। আর্টিলারিরা ইউক্রেনের সাঁজোয়া যান এবং হিট-অ্যান্ড-রান অস্ত্র দ্বারা ব্যবহৃত রুটেও হামলা চালানের কথা জানায় তারা। 

রাশিয়ার একজন কমান্ডার বলেছেন, ‘আমরা কনভয়গুলোকে আঘাত করি। আমরা বিদেশি তৈরি এম-৭৭৭ হাউইটজার ধ্বংস করেছি। কখনো কখনো আমরা দিনরাত কাজ করি। পরিস্থিতি এখন এমন যে শত্রুকে মারতে হবে, তাড়াতে হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। গত কয়েক সপ্তাহে অনেক শত্রু ধ্বংস হয়েছে।’

উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামলা-পালটাহামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দুই দেশে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার হামলা রুখতে রাশিয়ার মাটিতেই জোরাল হামলার নীতি নিয়েছে ইউক্রেন। চলছে রাশিয়ার দখলে যাওয়া একাধিক অঞ্চল ফের নিজেদের দখলে আনার চেষ্টা। বলতে গেলে রাশিয়াকে পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেন। ফলে প্রবল চাপে পড়েছে পুতিন বাহিনী। 

এ পরিস্থিতিতে হঠাৎই যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গলায়। তবে যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি ভরসা করতে চাইছেন ভারত, চিন, ব্রাজিল- এই তিন দেশের উপরে। ইউক্রেনের প্রতিরোধ ও পালটা মারেই সুর নরম করছেন তিনি। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

মন্তব্য করুন