শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

টাকা ছাড়া ঢোকা যাবে না স্বপ্নের ভেনিস শহরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৩

বিশ্ব ইতিহাসে এখন পৃথিবীর একমাত্র শহর হলো ইতালির ভেনিস, যেখানে ঘুরতে গেলে আপনাকে প্রবেশ ফি দিতে হবে, অর্থাৎ টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। ইতালির ঐতিহাসিক এই শহরে ঢুকতে হলে এখন থেকে ৫ ইউরোর প্রবেশ ফি পরিশোধ করতে হবে। এমনকি, এই ফি না দিলে গুনতে হবে জরিমানাও। মূলত পর্যটকদের লাগাম টানতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।

এই নিয়ম শুধু সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সময়ের বাইরে কোনো ফি দিতে হবে না। অর্থাৎ শুধু দিনে ভ্রমণকারীদের জন্যই এ ফি বাধ্যতামূলক। সন্ধ্যা বা রাতের জন্য এই ফি দিতে হবে না। তবে নিয়ম ভঙ্গকারীদের ৫০ ইউরো থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

ইউরো নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে ২৯ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম চালু করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে শহরটির মূল রেল স্টেশন থেকে শুরু করে প্রধান প্রবেশপথগুলোতে ফি জমা দেওয়ার পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রায় ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা ভ্রমণকারীদের কাছে গিয়ে ভদ্রভাবে ফি দিয়েছেন কি না জানতে চাইবেন। তাছাড়া এই কর্মীরা একটি কিউআর কোড ডাউনলোড করতে সাহায্য করবেন, যার মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে। আবার ওই কিউআর কোড দিয়েই স্থানীয় কর্মকর্তারা যে কোনো সময় যে কোনো ভ্রমণকারী ফি দিয়েছেন কি না চেক করতে পারবেন। আর যাদের স্মার্টফোন নেই, তাদের জন্য একটি কিয়স্ক স্থাপন করা হয়েছে।

গত বছর ইউনেস্কোর বিপদ তালিকা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ভেনিস। আর এর মূল কারণ ছিল পর্যটকদের অত্যধিক চাপ। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই মূলত এই ট্যাক্স সিস্টেম চালু করেছে ভেনিস কর্তৃপক্ষ।

ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো বলেছেন, এই ফি আমাদের জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব আনার চেষ্টা নয়। বরং, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলির একটিতে পর্যটন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার ও বাসযোগ্য শহরে রূপ দেওয়ার জন্য একটি ‘পরীক্ষা’। এই চার্জের উদ্দেশ্য হলো- দর্শণার্থীদের শুধু ছুটির দিনে নয়, অন্যান্য দিনেও আসতে উৎসাহিত করা।

শহরের শীর্ষ পর্যটন কর্মকর্তা সিমোন ভেনটুরিনি বলেন, দিনে যখন দর্শণার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজারে পৌঁছায় তখন, শহরটি চাপে পড়ে যায়। এটির সংকীর্ণ গলি ও জলপথগুলো মানুষ ও ওয়াটার ট্যাক্সিতে ভরে যায়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে। আমাদের অবশ্যই সবার আগে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ও নির্দিষ্ট কিছু দিনে ভ্রমণকারীর আগমনকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

মন্তব্য করুন