শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

চীনকে ফের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সংক্রান্ত প্রমাণ পাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বরাবরই বলে এসেছেন, এ রকম কোনো কিছুর সঙ্গে চীণ জড়িত নয়।

সিএনএনকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই প্রমাণ দেখার কথা জানান ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিন দিনের সফরে বেইজিং ঘুরে এসেছেন তিনি। সেখানে জিনপিং ও শীর্ষ চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিএনএনের খবর বলছে, ব্লিঙ্কেন নিজ বৈঠকে শিকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার বার্তা দিয়েছেন। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে শিকে একই বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সময়ই শি প্রতিশ্রুতি দেন যে চীন এ রকম কিছু করবে না। শি সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সাধারণভাবে বললে, আমরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা ও এতে হস্তক্ষেপ চেষ্টার প্রমাণ দেখতে পেয়েছি এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এ রকম ঘটনা যাতে যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ হয়ে যায়।’

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনে চীনের যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ এমন একটি বিষয় যা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং এটি আমাদের কাছে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। ফলে আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে তারা আমাদের বার্তা পেয়েছে।’ বেইজিং একাধিকবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার মূলনীতি থেকেই এ বিষয়ে অটল তারা।

এদিকে, এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চীনে সফর করতে দেখা গেল ব্লিঙ্কেনকে। এবারের সফরকে গত বছরের বাইডেন-শি সম্মেলনের পর উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনিতে গত বছর থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে নিজেদের মধ্যকার ভেঙে পড়া সম্পর্ক ঠিকঠাক করতে, দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ আবারও শুরু করতে।

সফর প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয় নিয়ে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে যেতে প্রস্তুত, সেসব বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা পার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়েও সরাসরি কথা বলছি এবং এটি করাটা জরুরি।’ সিএনএনের প্রতিবেদনে বলছে, চীনের রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। বিশেষ করে রুশ প্রতিরক্ষাশিল্পে চীনের সমর্থনের বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। চীন এভাবে সমর্থন বজায় রাখায় আগামীতে তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলেও দেশটির কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন ব্লিঙ্কেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্যে, চীনের সমর্থন রাশিয়ার ট্যাংক, অস্ত্র ও সাজোয়াঁ যানের উৎপাদন সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করছে, যা আখেরে গিয়ে প্রভাব ফেলছে ইউক্রেন যুদ্ধে। চীন অবশ্য এ বিষয়টিও অস্বীকার করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। এ সংঘাত নিরসনে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে– এমন দাবিও অতীতে করেছে দেশটি। তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক, কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে বেইজিংয়ের।

মন্তব্য করুন