এখনও যেন জ্বলছে গাজা, চতুর্দিকে রুক্ষতা। মরু-মানচিত্র জুড়ে রয়েছে ভয়াবহ বিভীষিকার দাগ। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে লাশের গন্ধ, মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে; শোকে পাথর গাজা। আর এরই ভেতর ফিলিস্তিনে ১৫ মাসের ইসরায়েলি বর্বরতার পর এলো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা।
দিবস ও রজনীর কঠিন দিনরাত্রি পাড়ি দিয়ে অবশেষে এসেছে সুখবর। একটু স্বতির খবর আসতেই তাই উচ্ছ্বাস দেখাতে দেরি হয়নি গাজার মানুষের। আনাহার, নিদ্রাক্লান্তি আর মৃত্যুর ফনা তোলা সময়ে বেঁচে থাকার অভিজ্ঞতার মধ্যে হঠাৎ ঘটেছে তাই গণজাগরণ।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাস যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তাদের নামের তালিকা না দেওয়ায় গাজায় হামলা অব্যাহত রাখে দখলদার সেনারা।
হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, সকালে যে সময় থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা ছিল, সেই সময় থেকে বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে ছয়জন গাজা সিটিতে, তিনজন উত্তরাঞ্চলে এবং একজন রাফায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তিন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। তারা নিশ্চিত করেছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই তিন নারী সবার প্রথমে মুক্তি পাবেন। তারা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামানি এবং দোরোন স্টেনব্রিচার।
এছাড়া যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও জানিয়েছে, হামাস তাদের কাছে তিন জিম্মির নাম হস্তান্তর করেছে।
দখলদার ইসরায়েল এর আগে জানায়, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। তাই সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; তাদের সেনারা হামলা অব্যাহত রাখে। এতে করে যুদ্ধবিরতিটি শুরু হওয়ার দিনই ১০ জন নিহত হয়েছেন। যারা আশা করছিলেন আজকে থেকে গাজায় নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন