বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

সিরিয়ায় গঠন হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩০

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অভিযানে চাপের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহীরা দেশ শাসনের জন্য এখন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছে। 

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল-জোলানির নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তিনি এরই মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

অপরদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে পারেন আরেক বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আল-বশির। তিনি বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি ছোট এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাস করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। তার দেশত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে।

এদিকে বাশার আল-আসাদ বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে সেখানে তিনি খুব বেশি মর্যাদা পাচ্ছেন না। বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মস্কোতে যাওয়ার পর তার বা তার পরিবারের কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হতে দেখা যায়নি।

ক্রেমলিন বলছে, বাশার আল-আসাদের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। সিরিয়ার দূতাবাসের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন যে, আল-আসাদ মস্কোতে আছেন। কিন্তু তারা জানিয়েছেন যে, তিনি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এসব কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।

রাশিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটির কী হবে? যদিও সিরিয়ার বিরোধী নেতারা লাতাকিয়া এবং টারতুসে রাশিয়ার বিমান ও নৌ ঘাঁটির পাশাপাশি দেশটিতে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন