আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৩৯ জন অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগরে আটকে দিয়েছে লিবীয় কোস্টগার্ড৷ তাদের সমুদ্র থেকে জোরপূর্বক লিবিয়ার ফিরিয়ে এনেছে কর্তৃপক্ষ৷
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর লিবিয়া কোস্টগার্ডেরা অভিবাসীদের সমুদ্রে আটকে দেয়ার সংখ্যা ২০২৩ সালের বার্ষিক পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে৷
অভিবাসীদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের বিরুদ্ধে৷ ২০২৩ সালে মোট ১৭ হাজার অভিবাসীকে সমুদ্রে আটকে দিয়ে লিবিয়ার জোরপূর্বক ফিরিয়ে নিয়েছিল কোস্টগার্ড৷
২০২৪ সালের সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা অভিবাসীদের ১৮ হাজার পুরুষ এবং দেড় হাজার নারী বলেও জানিয়েছে আইওএম৷ এছাড়া লিবিয়া থেকে ইউরোপের দিকে যাত্রা করা ৬৮০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীকেও সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর অনুমোদন নিয়ে লিবিয়ার কোস্টগার্ড সাত বছর ধরে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের বাধা দিয়ে উপকূলে ফিরিয়া আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷
২০১৭ সালে ইটালির সাথেও এমন একটি চুক্তি সই করেছে লিবিয়া৷ ওই বছর থেকেই এনজিওগুলো এই এই অংশীদারত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে৷
ইউরোপে অভিবাসীদের আগমনকে থামিয়ে দিতে ইইউ লিবিয়ান কর্তৃপক্ষকে তাদের উদ্ধার কাজ সমন্বয় করার দায়িত্ব দিয়েছে৷
এছাড়া ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের আটকে দিতে নিয়মিত লিবিয়ান কর্তৃপক্ষকে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেয় রোম কর্তৃপক্ষ৷
ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম এবং এনজিওগুলো লিবিয়ার কোস্টগার্ডের অপেশাদার আচরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়মিত নথিভুক্ত করেছে৷
২০২৪ সালের জুনে জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যায় লিবিয়ার উপকূলরক্ষীরা লাঠি দিয়ে অভিবাসীদের আঘাত করছে৷
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘে লিবিয়ার উপকূলরক্ষীদের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) লিবিয়ান কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করেছে৷ সম্প্রতি উপকূল থেকে যাত্রা করা অভিবাসীদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে কোস্টগার্ড৷ এ ঘটনায় একজন যাত্রী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন৷
মন্তব্য করুন