উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ। সেখানে একটি বহুতল ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। ওই ভবনে বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। খবর আল জাজিরার।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।
গাজায় প্রায় এক বছরে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সেখানে আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১ হাজার ১১০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজা যুদ্ধ এখন বন্ধ হওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিশর দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করার পর তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমাদের একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। আমাদের এই যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত। এটা বন্ধ হওয়া উচিত, এটা বন্ধ হওয়া উচিত, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে বাইডেন এমন সময় এই বিবৃতি দিলেন যখন ইসরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকা রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
গাজার পাশাপাশি লেবাননেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। লেবাননের বালবেক শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২ শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৮ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলে পূর্ব বেকা উপত্যকার বালবেক শহরের কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। মূলত হামলার পর বেকা উপত্যকার ১২টি এলাকা থেকে প্রাণহানির এই তথ্য পাওয়া গেছে।
হামলার পর হতাহতের এই পরিসংখ্যান এখনো প্রাথমিক বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। নিহত ৬০ জনের মধ্যে বালবেক শহরের পশ্চিমে আইন আল আলাক নামক স্থানে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
পাল্টা আঘাত হানছে হিজবুল্লাহও। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে এই গোষ্ঠী। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি হিজবুল্লাহ।
গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭১০ জনে পৌঁছেছে। যার মধ্যে ১২৭ জন শিশুও রয়েছে।
মন্তব্য করুন