শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ইরানে চলছে ভোট গণনা, এগিয়ে সংস্কারপন্থি মাসুদ পাজেশকিয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৫৩
ছবি- সংগৃহীত

শেষ হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন চলছে ভোট গণনা। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন সংস্কারপন্থি নেতা মাসুদ পাজেশকিয়ান। তার পরেই রয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি। খবর রয়টার্সের।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ জুন) থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোট গণনা হয়েছে। তার মধ্যে সংস্কারপন্থি মাসুদ পাজেশকিয়ান পেয়েছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ভোট। অন্যদিকে, কট্টোরপন্থি নেতা সাঈদ জালিলি পেয়েছেন সাড়ে ৫০ লাখ ভোট।

একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ, যা দেশটির ধর্মীয় নেতাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল। ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এই নির্বাচন ‘রানঅফে’ গড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি।

দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হয়।

কোনো প্রার্থী এই সংখ্যায় পৌঁছাতে না পারলে নির্বাচন সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর রানঅফে গড়াবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

রয়টার্স বলছে, যদিও এই নির্বাচন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর ফলাফল ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।

চলতি বছরের ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইরানের সংবিধানের অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ৮০ জনের আবেদন পর্যালোচনা করার পর সংবিধানের ১১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছয় জনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।

এরপর এই ছয় প্রার্থী ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ও টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন। তবে এরমধ্যে ৬ জন প্রার্থীর দুইজন অন্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।

ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন চার প্রার্থী। তারা হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাইদ জলিলি, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, ও মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।

মন্তব্য করুন