রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় স্বর্ণপদক পেলেন তারিকুল ইসলাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৬

মালয়েশিয়ায় স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাংলাদেশি অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম। তিনি ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে ‘স্মার্ট টেকনোলজি অ্যান্ড সিস্টেমস’ ক্লাস্টারের অধীনে একটি উদ্ভাবন প্রকল্প উপস্থাপন করেন। যার শিরোনাম ছিল ‘সি ব্যান্ড অ্যান্টেনা ফর KITSUNE 6U CubeSatellite’। এই প্রকল্পটির জন্য তাকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলানতানে শুরু হয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এ সম্মেলনে তাকে এ পদক দেওয়া হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি গবেষকরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। মালয়েশিয়ায়ও এর ব্যতিক্রম নয়, তার প্রমাণ দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। বাংলাদেশি গবেষকদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

চলতি বছরের ১৮ মে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে ‘মালয়েশিয়া রিসার্চ অ্যাসেসমেন্ট’ পুরষ্কার অর্জন করেন তারিকুল ইসলাম।

তিনি ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি অ্যান্টেনা, মেটাম্যাটেরিয়ালস ও মাইক্রোওয়েভ ইমেজিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ৫০০টি গবেষণা জার্নাল নিবন্ধের লেখক ও ২২টি ইনভেন্টরি পেটেন্ট দাখিল করেছেন।

এরই মধ্যে অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বেশ কয়েকটি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বহু বছর ধরে ইইকেএমএর-এর শীর্ষ গবেষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি প্রায় ৩০ জন পিএইচডি ২০ জন এম এসসি থিসিস তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি ১০টিরও বেশি পোস্টডক্স ও ভিজিটিং গবেষককে পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রফেসর তারিকুল নটরডেম কলেজ ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্তন ও মাথার টিউমারের মতো রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রের জন্য জাপান, সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারের মতো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক গবেষণা পরিচালনা করছেন। তিনি ন্যানো স্যাটেলাইটের জন্য ছোট অ্যান্টেনা উন্নয়নেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

‘মালয়েশিয়া রিসার্চ অ্যাসেসমেন্ট’ যা ২০০৬ সালে প্রথম চালু হয়েছিল মালয়েশিয়ায় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতির মাধ্যমে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষমতায়নের জন্য একটি এজেন্ডা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইউকেএম ২০০৬ সাল থেকে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষিত ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।

মন্তব্য করুন