বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

জার্মানিতে অবৈধ অভিবাসীদের কপাল পুড়লো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৮

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে জার্মানির রাজনৈতিক দল সিডিইউর এক প্রস্তাবনা দেশটির সংসদে পাস হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আলোচনার মাঝেই পাস হলো এই প্রস্তাব।

সংসদে রক্ষণশীল দল সিডিইউর আনা প্রস্তাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে অনিয়মতে পথে জার্মানিতে প্রবেশ ঠেকাতে এবং যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা।

বুধবার সংসদের প্রস্তাবটির পক্ষে ৩৪৮টি এবং বিপক্ষে ৩৪৫টি ভোট পড়ে। ১০ জন সাংসদ ভোট দানে বিরত থাকেন।

চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি এবং গ্রিন পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি এবং এফডিপির সমর্থন থাকা সংসদে পাস হয় আইনটি।

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরে হামলার ঘটনার এমন প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন শহরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়ছেন। এসকল ঘটনায় অভিবাসীদের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে।

সব মিলিয়ে আসছে নির্বাচনে জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে করা জনমত জরিপে প্রথম স্থানে রয়েছে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সিডিইউ/সিএসইউ।

প্রস্তাবনায় দেশটির সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এবং বেআইনি প্রবেশ ঠেকাতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে, সীমান্তে স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপ, শেঙ্গেন জোনে মুক্ত চলাচল বন্ধ করা এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যারা জার্মানিতে প্রবেশ করেছেন তাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাবাসন।

প্রস্তাবনায় আরো রয়েছে, আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর যাদের দেশত্যাগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাদের আটক করা এবং যেসকল অভিবাসী অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের বসবাসের অনুমতি সীমিতকরণ। 

কট্টর ডানপন্থি দল এএফডির সমালোচনা করেছে সিডিউ/সিএসইউ। দলটি বলছে, ‘‘জেনোফোবিয়া এবং ষড়যন্ত্র উসকে দিতে গণহারে অভিবাসনের জন্য তৈরি হওয়া সমস্যাটির অপব্যবহার করছে এএফডি।’’ 

মন্তব্য করুন