বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩২

জার্মানিতে অনিয়মিত অভিবাসন কমেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৭

২০২৪ সালে জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে দেশটির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

২০২৪ সালে ইউরোপের দেশ জার্মানিতে আশ্রয়ের জন্য মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৭১টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানায় দেশটির ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি (বিএএমএফ)।

সরককারের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে মোট আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় এক লাখ কম। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ৩০ দশমিক ২ ভাগ আবেদন কম জমা পড়েছে।

২০২৪ সালে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং তুরস্কের নাগরিক বেশি।

আবেদনের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমলেও ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে জার্মানিতে।

তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে স্পেন, ফ্রান্স এবং ইটালি।

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার বলেন, ‘‘আমরা অনিয়মিত অভিবাসন ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে পেরেছি। জার্মান সীমান্তে নজরদারির মাধ্যমে ‘আমরা পাচারের রাস্তাগুলো আটকে দিতে পেরেছি।’ 

সুরক্ষা সুবিধায় অর্ধেকের কম আবেদনকারী

সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাম্প্রতিক বছরগুলোর হিসেব বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, ২০২৪ সালে জার্মানিতে করা আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা সপ্তম সর্বোচ্চ।

সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল৷ ওই বছর সাত লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৫টি আবেদন জমা পড়ে। মূলত সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের উপস্থিতির কারণে ওই বছর আবেদনের সংখ্যা বেশি ছিল।  

এদিকে চলতি বছর জমা পড়া আশ্রয় আবেদনের মধ্যে অর্ধেকের কম আবেদনকারীকে সুরক্ষা সুবিধা প্রদান করেছে জার্মান সরকার৷ আবেদনেকারীদের মধ্যে ৪৪ ভাগ ব্যক্তিকে সুরক্ষা সুবিধায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। 

তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে সিরিয়ার নাগরিকেরা। দেশটির আবেদনকারীদের ৮৩ ভাগ সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আফগানিস্তান, ৭৪ দশমিক ৭ ভাগ।

মন্তব্য করুন