বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হামলার শঙ্কা, নিরাপদ আশ্রয়ে ছোটাছুটি কিয়েভবাসীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২০ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫০
ছবি-সংগৃহীত

রাশিয়ার সম্ভাব্য বিমান হামলার শঙ্কায় কিয়েভের শেল্টারগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে ইউক্রেনের রাজধানীতে ‘সম্ভাব্য বড় হামলা’ এবং কিছু দূতাবাস বন্ধের সতর্কবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যক্তিগত চ্যাটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এর মধ্যে একবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য শহরটিতে বিমান হামলার সাইরেনও বাজানো হয়। যদিও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ভিড় করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শেল্টারে।

তিনদিন আগে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এর ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা। 

তাছাড়া, কিয়েভসহ অন্যান্য শহরগুলোতে রাশিয়ার ড্রোন হামলা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রোনের শব্দ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রম রাতের ঘুম কেড়েছে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়র। এই হামলায় শহরাঞ্চল থেকে দূরে থাকা লোকজনও প্রায়শই নিহত হচ্ছেন।

বুধবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল’ গ্রহণ করেছে। তারা জনগণকে সতর্ক সংকেত শুনলেই শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যা রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের প্রতিটি দিনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিন বিকেলে কিয়েভে সাইরেন বাজলে একটি আন্তর্জাতিক হোটেলের শেল্টারে অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এই পরিস্থিতিকে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বাড়তি সতর্কতার নিদর্শন হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।

রাশিয়ার বৃহত্তর হামলার শঙ্কায় বুধবার সবার আগে কিয়েভ দূতাবাস বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে নিয়োজিত কর্মীদের পাশাপাশি শহরটিতে অবস্থানরত অন্য মার্কিন নাগরিকদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

এরপর একে একে ইতালি, স্পেন, গ্রিসও তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। পরে অবশ্য গ্রিসের দূতাবাস ফের চালু করা হয়েছে। দূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করেছে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিও। যুক্তরাজ্য এমন কিছু না করলেও বলেছে, তারা কিয়েভের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

মন্তব্য করুন