বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

আশ্রয়প্রার্থীদের আর্থিক সুবিধা কমাচ্ছে জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৫

সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আশ্রয়প্রার্থীদের দেওয়া আর্থিক সুবিধা কমিয়ে আনছে জার্মান সরকার৷ জার্মানিতে প্রতিবছর এই সুবিধা নবায়ন করা হয়৷ ২০২৫ সালের জন্য সরকারের ঘোষিত আর্থিক সুবিধা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের আর্থিক সুবিধা কমাতে যাচ্ছে সরকার৷

জার্মান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে আশ্রয়প্রার্থীদের সামাজিক সুরক্ষা বাবদ দেওয়া মাসিক আর্থিক বরাদ্দ ১৩ থেকে ১৯ ইউরো পর্যন্ত কমে আসবে৷ বয়স, বাসস্থান এবং পাবিবারিক অবস্থা প্রেক্ষাপটে এই অংক কম-বেশি হবে৷   

জার্মান সংবাদপত্র হান্ডেলসব্লাট মঙ্গলবার সরকারের এই নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাসা শেয়ার করে থাকা সিঙ্গেল বা একক ব্যক্তিরা ২০২৫ সাল থেকে প্রতি মাসে ৪৪১ ইউরো করে পাবেন৷ আগে এটি ছিল ৪৬০ ইউরো৷ শেয়ার করা বা কমিউনিটি বাসায় থাকা যুগলেরা পাবেন ৩৯৭ ইউরো, যা আগে ছিল ৪১৩৷ তাছাড়া অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক কিন্তু ২৫ বছরের কম বয়সি, যারা বাবা মায়ের সাথে বসবাস করেন তাদের মাসিক ভাতাও কমে আসবে৷ 

দ্রব্যমূল্য এবং মজুরি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালে টাকার অংক অনেক বাড়িয়েছিল সরকার৷ 

আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে জার্মানি

গত মাসে জার্মান সরকার জানায়, সুরক্ষা সুবিধা কমানোর পাশাপাশি দেশটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আশ্রয়বিষয়ক নীতি সংস্কারে তৎপর৷ এরফলে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে থাকবে, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো এবং নিরাপদ দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন দ্রুত যাচাই-বাছাই করা, যেন সময় ক্ষেপণ না করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়৷ 

যদিও ইইউ ২০২৬ সাল থেকে এই ধরনের সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে, তবে জার্মানি সরকার চাইছে তা দ্রুত করা হোক৷ আশ্রয়বিষয়ক নীতি সংস্কারের মধ্যে আরো থাকবে, একটি সলিডারিটি মেকানিজম তৈরি করা৷ এই মেকানিজমের আওতায় আশ্রয়প্রার্থীরকে বিভিন্ন দেশে সমানভাবে দেওয়া হবে যেন জার্মানির মতো দেশগুলোর উপর এককভাবে কোনো চাপ না পড়ে৷ 

তাছাড়া, জার্মান সংসদ ইতিমধ্যে একটি নিরাপত্তা নীতির আংশিক অনুমোদন দিয়েছে৷ এই নীতি অনুসারে, আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য তাদের বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবহার এবং আশ্রয়প্রার্থীর দায়িত্ব ইইউর অন্য কোনো দেশের প্রমাণ হলে তার সামাজিক সুরক্ষা সেবা বাতিল করা হবে৷

মন্তব্য করুন