ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পর এবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহ্বান জানান।
পেদ্রো সানচেজ এ সময় দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ইসরাইলি বাহিনী শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি ওয়াচ টাওয়ারে গুলি চালায়। এতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ সূত্র। এটি ছিল লেবাননে টানা তৃতীয় দিনের ঘটনা যেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা ইসরাইলি হামলার শিকার হচ্ছেন।
এ হামলার বিষয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের আহত করার ঘটনার তদন্ত করছে। এর আগেও একটি পর্যবেক্ষণ পোস্টে হামলা চালনোর ফলে দুই শান্তিরক্ষী আহত হন।
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে স্পেনের ৬৫০ জন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং একজন স্প্যানিশ জেনারেল মিশনটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলার প্রেক্ষিতে স্পেন ইতোমধ্যেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছে। এ বিষয়ে সানচেজ দাবি করে বলেছেন, ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমে যাবে।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরাইলি সরকারের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করা।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধানে ফিরে আসি এবং গাজায় যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করি’।
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের কোনো কথাই শোনা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে তিনি গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্পকে একটি ‘বড় ভুল’ বলেও অভিহিত করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৪২,১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন