ইতালিতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে “দূর থেকে দেখা একটি অপ্রত্যাশিত বিপ্লব” শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ শুক্রবার সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান অরগানাইজেশন আরছি ন্যাশনাল এর অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ
সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি আরছি ও আ এস জি আই (এসোসিয়েশন ফর জুরিডিক্যাল স্টাডিস অন ইমিগ্রেশন ) এবং লেত্তেরা২২ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ইতালিতে ৮ মে একটি ডিক্রি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ আরও চারটি দেশকে লিস্ট এ সেইফ কান্ট্রি অফ অরিজিন নিবন্দ্বিত করা হযেছে। এই চারটি দেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে কিছু বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আরছি রোমার ইমিগ্রেশন রেস্পন্সিবল ও আরছি ইতালির ডিরেক্টর পাপিয়া আক্তার। আ এস জি আই এর ইমিগ্রেশন আইনজীবী ও শিক্ষক সালভাতোরে ফাকিলের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, ইতালি’র বলোনিয়া ট্রাইবুনালের বিচারক মার্কো গাত্তোসে,মিলান থেকে ইমিগ্রেশন আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুসে বনজানো, ছাপিয়েনচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও লেখিকা অধ্যাপিকা নিমান সুবান, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেস এর রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষক আদনান পাভেলও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক জুলিয়ানো বাতিস্তল।
বক্তারা বলেন,বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসী যারা ইতালিতে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন তাদের আইনগত অধিকারের ব্যাপারে এ আলোচনায় স্থান পায়। ইতালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুসারে ইতালিতে নৌকা ও জাহাজ যোগে আগত শরণার্থীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের আশ্রয় প্রার্থী সব চেয়ে বেশী।বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীরা কিভাবে এখানে আইনগত সুবিধা পেতে পারে তাদের ব্যাপারে আলোচকরা আলোচনা করেন ও বিভিন্ন আইনগত পরামর্শ দেন।
যদিও ইতালিতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি বাংলাদেশি, তারপরও বাংলাদেশিদের নিয়ে স্থানীয় ভাবে এখানে খুব বেশি একটা আলোচনা হয় না। অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ১৫০ জনবিভিন্ন পেশাজীবী অংশ গ্রহণ করেন। বক্তারা, ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা ও কিভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায় তার বিশদ বিশ্লেষণ করেন।
সভাপতি পাপিয়া আক্তার অনষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং যে যার যার অবস্থান থেকে বাংলাদেশ থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের সহযোগিতার আহবান জানান। পাশাপাশি অভিবাসীরা যাতে আইনগত ভাবে ডকুমেন্টস পেয়ে ইতালিতে কাজ করে স্থানীয় ভাবে ইতালিতে ও বাংলাদেশে অবদান রাখতে পারেন সেই ব্যাপারে ইতালি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মন্তব্য করুন