গত সপ্তাহান্তে ফ্রান্স জুড়ে হাজার হাজার মানুষ যৌন সহিংসতার প্রতিবাদ করেছে। দুটি ব্যাপক-আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা দেশটিকে কাঁপিয়ে তুলেছে।
একটিতে ভুক্তভোগী একজন নারী, যাকে কয়েক ডজন পুরুষ বছরের পর বছর ধরে মাদকদ্রব্য দিয়ে নেশাগ্রস্ত রেখেছে ও ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যটিতে গৃহহীনদের অধিকারের জন্য লড়াই করা এক সময়ের জনপ্রিয় ফরাসি ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মার্সেই এবং নান্তেসের মতো ফরাসি শহরগুলোতে নারী-পুরুষ সবাই যৌন সহিংসতা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
তারা ৭২ বছর বয়সী জিসেল পেলিকো'র সমর্থনে ‘ধর্ষণের সংস্কৃতির প্রতি- না’ এবং ‘গিসেল, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করি’ ইত্যাদি বার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদন।
পেলিকো'র সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাভিননে বিচার চলছে। তার বিরুদ্ধে জিসেল পেলিকোকে প্রায় এক দশক ধরে মাদকদ্রব্য দিয়ে নেশাগ্রস্ত করে রাখা এবং তাকে ধর্ষণের জন্য কয়েক ডজন মানুষ নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পেলিকো বিক্ষোভকারী ও অন্যান্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, যারা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের সবার জন্য লড়াই করার জন্য বিক্ষোভকারী ও সমর্থকরা তাকে শক্তি জুগিয়েছেন।
অ্যাভিননের বিচার বিখ্যাত ফরাসি অভিনেতা এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে যৌন সহিংসতার অভিযোগের সর্বসাম্প্রতিকতম ঘটনা।
সাম্প্রতিককালে অ্যাবে পিয়ের মনোযোগের শীর্ষে ছিলেন। একসময় তিনি গৃহহীনদের জন্য লড়াই করতেন। অনেক বছর ধরে ফ্রান্সের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ধর্মযাজক ৯৪ বছর বয়সে ২০০৭ সালে মারা যান।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ফ্রান্স ও অন্যান্য দেশে কয়েক দশক ধরে নারীদের যৌন নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এখন তার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি তার নামে নামকরণ করা পার্ক এবং রাস্তাগুলো থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, অ্যাবে পিয়ের অনেক ভালো কাজ করেছেন কিন্তু তিনি একজন পাপীও ছিলেন এবং এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত, লুকানো উচিত নয়।
ফরাসি বিশপ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বলেন, অন্তত কিছু ফরাসি বিশপ কয়েক দশক ধরে ধর্মযাজকের কথিত নির্যাতনের কথা জানতেন।
মন্তব্য করুন