সপ্তাহান্তে আলাদা দুইটি উদ্ধার অভিযানে মোট ৩২৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগরে বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ আইতা মারি এবং লাইফ সাপোর্ট।
স্প্যানিশ উদ্ধার জাহাজ আইতা মারি ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে ঝুঁকিতে থাকা দুটি নৌকা থেকে ১০৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ এসব অভিবাসীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সাগরে ভাসছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু ছিলেন।
এই উদ্ধার অভিযানের পর ইটালি কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে দেশটির সালারনো বন্দরে নোঙর করার নির্দেশ দেয়৷ যাত্রীদের শারীরিক অবস্থা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কাছের একটি বন্দরে নামার অনুমতি চেয়েছিল আইতা মারি।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই ঠান্ডা ও আর্দ্রতার কারণে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছিলেন৷ এসব অভিবাসীদের মধ্যে মোট ১১টি দেশের নাগরিকেরা ছিলেন।
অভিবাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করে উদ্ধার সহায়তায় কাজ করা ‘অ্যালার্ম ফোন’ শনিবার সকালে দুই বার বিপদের সংকেত পাঠানোর পরই উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিল।
আইতা মারি পরিচালনাকারী সংগঠন সালভামেন্তো মারিতিমো হুমানিতারিও জানিয়েছে, ‘‘হতে পারে, এটিই আমাদের এই জাহাজের সর্বশেষ অভিযান৷ কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন ও আশ্রয় নীতিমালা শিগগিরই কার্যকর হতে যাচ্ছে। ফলে, ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে৷’’
এদিন দ্বিতীয় উদ্ধার অভিযানটি পরিচালনা করেছে ইটালীয় এনজিও ইমার্জেন্সি পরিচালিত উদ্ধার জাহাজ লাইফ সাপোর্ট।
জাহাজটি লিবিয়ার উপকূলবর্তী আন্তর্জাতিক জলসীমায় তিনটি পৃথক অভিযান চালিয়ে মোট ২১৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
জাহাজটির মিশন প্রধান জোনাথন নানি লা তেরা জানান, প্রথম নৌকাটির যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ভাসছিলেন এবং নৌকাটিতে পানি ঢুকে গিয়েছিল৷ উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪৮ জন শিশু এবং ৪২ জন অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, মালি, আইভরি কোস্ট, ঘানা, বুরকিনা ফাসো, বেনিন থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে এনজিও ইমার্জেন্সি।
উদ্ধার শেষে জাহাজটিকে ইটালির আনকোনা বন্দরে নোঙরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
লাইফ সাপোর্ট ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ভূমধ্যসাগরে কাজ করছে৷ এনজিওটি এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০১ জন অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করেছে।
মন্তব্য করুন