অভিবাসীদের বসবাসের অনুমতি বা রেসিডেন্স পারমিট জালিয়াতির অভিযোগে ফ্রান্সের প্যারিস শহর বেজিয়ের থেকে এক সরকারি কর্মকর্তাসহ ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক করেছে ফরাসি পুলিশ।
অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি একটি অনিয়মিত অভিবাসন নেটওয়ার্কের হয়ে জাল রেসিডেন্স পারমিট সরবরাহ করতেন। একই মামলায় অন্তত ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব জালিয়াতির ঘটনা সংগঠিত করেছিলেন। এ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি সন্দেহজনক ফাইল শনাক্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের অনিয়মিত অভিবাসী পাচারবিরোধী দপ্তর (অল্টিম)-এর তত্ত্বাবধানে এ সংক্রান্ত তদন্ত চলছে।
ফ্রান্সের তুলুজ শহর কেন্দ্রিক এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে তদন্ত শুরু হওয়ার পর একাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাল রেসিডেন্স পারমিটের জন্য চক্রটি অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত আদায় করত।
বেজিয়ের শহরের পাবলিক প্রসিকিউটর রাফায়েল বালো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে “প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপায়ে ঘুস নেওয়া, সংঘবদ্ধভাবে অনিয়মিত অভিবাসনে সহায়তা, জাল রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ ও মানি লন্ডারিং”-এর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে হেরো প্রদেশের প্রিফেক্ট ফ্রঁসোয়া-জাভিয়ে লোশ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এই মামলায় সরকার নিজে পক্ষভুক্ত হয়েছে।
ফরাসি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন নথি জালিয়াতির অভিযোগ এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নান্সি শহরের এক নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় নথি জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সেখানেও অন্তত ১৫টি ভুয়া ফাইল শনাক্ত করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন