তাইওয়ান ‘দখল’ করবেন তাঁরা। কেউ তাঁদের রুখতে পারবে না। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে বছর শুরু করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। মঙ্গলবার রাতে বর্ষবরণের সময় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। সেখানেই এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তাইওয়ানের উপর চিনের নজর দীর্ঘ দিনের। বরাবরই তারা দাবি করে এসেছে, সমগ্র তাইওয়ান নাকি চিনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তবে বেজিংয়ের এই দাবিকে বার বার নস্যাৎ করেছে তাইপেই। প্রশাসনিক স্তরে দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন রাষ্ট্র। চিন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র, অন্য দিকে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক প্রশাসন।
সম্প্রতি তাইপেইয়ের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে বেজিং। গত বছরের মে মাসে তাইওয়ানের নির্বাচনের পর থেকে অন্তত তিন বার সামরিক অভিযানও চালিয়েছে চিন। মে মাসের ভোটের পর বেজিং বলেই দিয়েছে, তারা তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে আনতে ‘বল প্রয়োগ’ বন্ধ করবে না। এই আবহে চিনা প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তাইওয়ান প্রশাসনের দাবি, ডিসেম্বরে চিন যে মাপের সামরিক অভিযান চালিয়েছে, তা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। চিন বেশ কয়েক বার তাইওয়ানের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তাইপেইয়ের।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকে থাকা চিনা মানুষেরা একই পরিবারের অংশ। আমাদের রক্তের বন্ধন কেউ ছিন্ন করতে পারে না। মাতৃভূমির পুনর্মিলিত হওয়াও কেউ আটকাতে পারবে না।” এই তাইওয়ান প্রণালীই চিনের থেকে তাইওয়ানকে পৃথক করেছে।
ডিসেম্বরেই তাইওয়ানকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও সহায়তা বাবদ ৫৭ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের সাহায্যের ঘোষণা করেছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের তরফে যে সমস্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তাইওয়ানকে বিক্রি করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ট্যাকটিক্যাল রেডিয়ো সিস্টেম এবং গান মাউন্ট।
পাশাপাশি সে দেশের সেনাকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ-সহ আরও নানা খাতে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের এই ভূমিকাকে ভাল ভাবে নেয়নি চিন। আমেরিকার এই পদক্ষেপকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র সঙ্গে তুলনা করে তারা জানিয়েছে, এর পরিণতি ভাল হবে না।
মন্তব্য করুন