বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পার্বত্য গ্রামগুলোতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় চাপা পড়ে এবং বন্যায় ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায় এখনও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

শুক্রবার ও শনিবারের ভারী বৃষ্টির পর মাটির স্তূপ, পাথর ও গাছপালা পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে এবং নদীগুলোর পানি বাঁধ ভেঙে উত্তরের সুমাত্রা প্রদেশের চারটি পার্বত্য জেলা প্লাবিত হয়। এতে বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান জাস্প্রি এম. নাদেক জানান, পুলিশ, সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা সেমাংগাত গুনং, কোরো জেলার একটি রিসোর্ট এলাকায় ধ্বংসাবশেষে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। লাশ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে এক্সকাভেটর ও কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন তারা।

তিনি বলেন, রবিবার রাতে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি এবং একটি কটেজ থেকে উদ্ধারকর্মীরা ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছেন। আহত নয়জন লোক কোনোভাবে সরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সোমবারও উদ্ধারকর্মীরা দুই শিশুসহ চারজন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ করছেন।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান পুপুত মাশুরি জানান, রবিবার উদ্ধারকর্মীরা একটি নদী থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০টি বাড়ি ভেসে গেছে এবং দক্ষিণ তাপানুলি জেলার গ্রামগুলোর প্রায় ১৫০টি বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এছাড়া ১৩০ হেক্টরের (৩২১ একর) বেশি কৃষিজমি এবং বাগান ধ্বংস করেছে।

রবিবার আকস্মিক বন্যায় দেলি সেরদাং জেলায় চারজন মারা গেছে এবং সোমবার উদ্ধারকর্মীরা ভেসে যাওয়া দু'জনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

পাদাং লওয়াস জেলার পাহাড়ি গ্রামে হারাং জুলুতে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুস্তারি এ সব তথ্য জানান।

শনিবার রাতের দিকে উদ্ধারকর্মীরা একটি গ্রাম থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের লাশ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ছিল। এছাড়া তিনজন আহত মানুষকে উদ্ধার করেন।

প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধস হয়। এই দ্বীপপুঞ্জে হাজার হাজার মানুষ পাহাড়ি এলাকায় অথবা উর্বর বন্যার তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হয়।

মন্তব্য করুন