শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ছাত্র বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের কড়া বার্তা মমতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ২৩:০৫
ছবি- সংগৃহীত

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারতই উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তবে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ বা প্রশাসন বাধা দিতে পারবে না বলে মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে আগেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টায় যেন কোনো কমতি নেই।

এবার আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হওয়ায় তিনটি স্কুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠালো তৃণমূল সরকার। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করায় হাওড়ার তিনটি স্কুলকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে তাদের জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিল হাওড়ার বলুহাটি হাইস্কুল, বলুহাটি গার্লস হাইস্কুল ও ব্যাটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এজন্য ওই তিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।

মিছিলে অংশগ্রহণ করায় শিশু অধিকার আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে শোকজ নোটিশে জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল প্রধান শিক্ষকদের তা জানাতে বলা হয়েছে।

শোকজ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলুহাটি হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ অঞ্জন কুমার সাহা জানিয়েছেন, মিছিলের সঙ্গে স্কুলের কোনো যোগাযোগ নেই। মিছিলের আয়োজন করেছিলেন কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। স্কুল ছুটির পর মিছিল হয়েছিল। তারপর ছাত্ররা সেই মিছিলে যোগদান করলে তার দায় স্কুলের ওপর বর্তায় না। স্কুলের কোনো শিক্ষক এই মিছিলে ছিলেন না।

এ ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের শক্তিকে ভয় পেয়েছেন। তাই ছাত্রদের আন্দোলনে যোগদানের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছেন তিনি।

মন্তব্য করুন