শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইইউয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ট্রাম্পকে একঘরে করবে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫৪
ছবি-সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একজোট হওয়ার বার্তা দিল চীন। আমেরিকার ‘একতরফা হুমকি’ প্রতিরোধে জোট বাঁধাই শ্রেয় বলে মনে করছে তারা। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বেজিঙে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই প্রস্তাব দিয়েছেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘‘চীন এবং ইউরোপের উচিত তাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করা। ভয় না পেয়ে যৌথভাবে আমেরিকার একতরফা হুমকির প্রতিরোধ করা।’’ 

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ানের মতে, এই ধরনের বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। তার কথায়, ‘‘চীন এই যুদ্ধ লড়তে চায় না। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। যদি আমেরিকা সত্যিই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চায়, তবে তাদের এই ধরনের চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

চীনের বিরুদ্ধে এই ধরনের কৌশল কাজ করবে না।’’ লিনের দাবি, আমেরিকা যদি শুল্ক এবং বাণিজ্যযুদ্ধের ওপর জোর দেয়, তবে চীনও শেষ পর্যন্ত তার জবাব দেবে।’’

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে নতুন শুল্কনীতির কথা জানান। তাঁর স্পষ্ট দাবি ছিল, যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যত বেশি শুল্ক আরোপ করে, সেই দেশের পণ্যের ওপর আমেরিকাও তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক চাপাবে। 

তার পরই ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের উপর বিভিন্ন পরিমাণ পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। আলোচনা, সমালোচনা চলছেই। সেই আবহেই ট্রাম্প জানান, ৯০ দিনের জন্য নয়া শুল্কনীতি স্থগিত রাখছেন। তবে সেই তালিকা থেকে বাদ থাকছে শুধু চীন।

বুধবার চিনা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে বৃহস্পতিবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) জানা যায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ শতাংশ নয়, ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, চীন কর্তৃপক্ষও আমেরিকার উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানাচ্ছে চীন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই প্রস্তাব যায়। 

যদিও অস্ট্রেলিয়া চীনের প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা কেবল জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে। এ ছাড়াও, ভারতকেও এক হওয়ার বার্তা দেয় চীন। যদিও চীনের প্রস্তাব নিয়ে নয়াদিল্লি এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। এ বার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে পাশে থাকার আহ্বান জানাল চীন।

মন্তব্য করুন