শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বেঁচে থাকতে হলে আমাদের হৃদয়ের যত্ন নিতে হবে

বিশ্ব হার্ট দিবসে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী
প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০

বিশ্ব হার্ট দিবসে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ চাঁদপুর শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 'হৃদয়ের যত্ন সর্বজনীন' এই শ্লোগানে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী। সংগঠনের সভাপতি ডাঃ বিশ্বনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, আজীবন সদস্য কাজী শাহাদাত, বিএমএ চাঁদপুর জেলার সভাপতি ও আজীবন সদস্য ডাঃ সৈয়দ নূরুল হুদা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, চাঁদপুর পৌর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি শেখ মনির হোসেন বাবুল ও বাবুরহাট  হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী বলেন, হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক। হৃদরোগের ভয়াবহ পরিণতি যেমন-হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং ফেইলিউরে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ২ কোটি ৫ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আজকে বিশ্ব হার্ট দিবস। এই দিনে আমাদের হার্টের যত্নের কথা মনে করিয়ে দেয়। বেঁচে থাকতে হলে আমাদের সকলের হার্ট তথা হৃদয়ের যত্ন নিতে হবে।

প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা করেন আলোচনা করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ চাঁদপুর শাখার সভাপতি ডাঃ বিশ্বনাথ পোদ্দার। তিনি বলেন, আমাদের চিনি এবং লবণ এই দুটি জিনিস ত্যাগ করতে হবে। হৃদরোগ থেকে ৮০ ভাগ অকাল মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। আমাদের জীবনধারায় ছোট ছোট পরিবর্তন করে আমরা হৃদস্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্য এবং সক্রিয় জীবনধারা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, লাল চিনি, অতিরিক্ত লবন, চর্বি জাতীয় খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন ৪৫ মিনিট করে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। শাক-সবজি ও তাজা ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
সভার শুরুতে প্রতিটি মানুষের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে পুষ্টিবিদ মোঃ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
সভায়  উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, আজীবন সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান, আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী, খোরশেদ আলম পাটোয়ারী কাঞ্চন, মোঃ নাছির উদ্দিন খান, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাবেরা ইসলাম, ডাঃ মোঃ খবির উদ্দিন, আজীবন সদস্য তানভীর আহমেদ আরিফ, মোঃ রুহুল আমিন স্বপন, উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইকবাল আজমসহ চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতলে আগত দর্শনার্থী ও সেবা প্রার্থীরা।

মন্তব্য করুন