শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত করাতে হবে?

প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮

যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে হার্টের সমস্যা। করোনার ঠিক পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে পরপর মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। কেন হঠাৎ এত বেড়ে গেল হার্টের অসুখ? এই বিষয়ে হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অসুখ বাড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম জীবনযাপনে পরিবর্তন, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস, মানসিক ইত্যাদি।

এছাড়া হার্টের অসুখের জন্য কিছু জেনেটিক বা বংশগত কারণও আছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল যদি বেশি থাকে, তাহলে হার্টের স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়ে। মানুষ যত বেশি জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, ততই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে। ফলে হার্টও দুর্বল হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবিটিস তো রয়েছেই।

সাধারণভাবে হার্টের অসুখ থাকলে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে ঘাম এবং শরীর খারাপ লাগে। ক্রমাগত শরীর খারাপ করতে থাকলে হার্টের অসুখ হতে পারে। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনী ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানা সমস্যা হয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলি নিঃশব্দে দানা বাঁধে।

কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। নিয়মিত ইসিজি পরীক্ষা, ব্লাড সুগারের পরীক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাতে হবে। দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কম বয়সে বাইপাস সার্জারি হয়ে থাকে, তা হলে দশ পনেরো বছর পরে আবার পরীক্ষা করানো দরকার। বাইপাস করলেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।

মন্তব্য করুন