শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

ইউরিক এসিড বেড়ে যাবার কারণ ও প্রতিকার

ফারহানা মোবিন,
  ১০ মে ২০২৪, ০০:৫৭

ইউরিক এসিড আমাদের রক্তের এক ধরণের বর্জ্য। আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিন,রক্তের যাবতীয় উপাদানের যেমন নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে, ঠিক তেমনি ইউরিক এসিডও থাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে। ইউরিক এসিডকে কিডনী যখন মূত্রের মাধ্যমে সঠিকভাবে বের করতে পারে না, তখন রক্তে ইউরিক এসিড জমতে থাকে। দেহ যদি নির্দিষ্ট মাত্রার তুলনায় অতিরিক্ত হারে ইউরিক এসিড তৈরী করে এবং সঠিকভাবে নির্গমন হতে পারেনা। তখন রক্তে বাড়তে থাকে ইউরিক এসিডের মাত্রা।

 আমাদের রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা হলো ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম পার ডেসিলি (মিলি/ডিএল)। ৭.২ এর বেশি হয়ে গেলে আমরা ধরে নিই, ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে। বৃদ্ধি পাওয়া ইউরিক এসিড রক্তে তৈরী করে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা।

কারণ

• দীর্ঘদিন ধরে  অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ 
• রক্তে পিউরিন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া
• হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ,
• কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, 
• পারিবরিক ইতিহাস থাকলে
• পানি খুব কম পরিমাণে খাওয়া
• ফ্যাটি লিভার

এছাড়াও, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের দেহে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেতে পারে।

লক্ষণ

• প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোন লক্ষণ ধরা পড়েনা। তবে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে জমে যেতে পারে। তখন জয়েন্টের চারিপাশে ব্যথা,শক্ত লালচে হয়ে ফুলে যেতে পারে।

• হাঁটাচলাতে কষ্ট হয়। জয়েন্টের চারপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জ্বর জ্বর ভাব থাকে।

সচেতনতাঃ

• রেডমিট,অতিমাত্রায় ফাস্টফুড,সামুদ্রিক খাবার,অ্যালকোহল, অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় বাদ দিতে হবে।

• ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,কিডনীর অসুখ,কোন হরমোন জনিত অসুখ থাকলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

• ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পেলে টমেটোর রস, ফুলকপি, মাশরুম, সামুদ্রিক শৈবাল, সামুদ্রিক মাছ, অতিমাত্রায় লালচে ও গ্রীল মাংস বাদ দিতে হবে।

• কোমল পানীয় বাদ দিয়ে নিয়মিত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা উচিৎ, তবে কিডনীর অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পানি পান করবেন না।

• বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণ অনুচিৎ। আত্মীয় স্বজন কারো বাতের ব্যথা বা ইউরিক এসিড বেড়ে যাবার ইতিহাস থাকলে আপনাকে খাদ্যাভাস,জীবন যাপনের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে।

• হাত পা বা দেহের কোথাও মাংস পেশী বা কোন জয়েন্টে লালচে হয়ে ফুলে গেলে অথবা শক্ত অনুভূত হলে, অবহেলা করা অনুচিৎ।

• নিজের উচ্চতা ওজন,শারীরিক সক্ষমতা বুঝে স্থূলতার রোগীদেরকে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হঠাৎ অতিমাত্রায় খাবার নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে আস্তে আস্তে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।

 

চিকিৎসক, লেখক ও সমাজকর্মী।

 

মন্তব্য করুন