মিশরের বিশ্ববিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নবীন ও প্রবীণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫৬তম কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছে দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দারুল আজহার বাংলাদেশ’।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ হাবিবুল বাশার আজহারী গত ২৫ ডিসেম্বর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি শিক্ষা সফরের ঘোষণা দেন। তার এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ১৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফরম পূরণ করে সফরের জন্য নিবন্ধিত হন। এই শিক্ষা সফরে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এমফিলের কৃতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
শিক্ষা সফরে তাদের সাথে আরো যোগ দেন শায়েখ হাসিবুর রহমান আজহারী ,শায়েখ শুয়াইব মোহাম্মদ আল-আজহারী, শায়েখ ঈসা আহমদ আজহারী,শায়েখ ফখরুল ইসলাম আজহারী,শায়েখ আব্দুল কাইয়ূম আজহারী ও মিশরে জাগো নিউজ প্রতিনিধি সাংবাদিক আফসার হোসাইন। এছাড়াও দেশটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ছাত্রদের সংগঠন "ইত্তেহাদ"-এর ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
দারুল আজহার বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ হাবিবুল বাশার আজহারী বইমেলা প্রাঙ্গণে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন দেশের বুকষ্টল গুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান ও বিভিন্ন কিতাবাদী বিষয়ে ধারনা দেন।
হাবিবুল বাশার আজহারী এই প্রতিনিধিকে জানা, মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি
"শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যমী ও সক্রিয় করে তুলতে এ ধরনের শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরো সফর ও ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, কীভাবে ইলম অর্জন করতে হয়—সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে এক ও অভিন্ন থেকে জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে হবে।
বাসার আজহারি আরো জানান, 'দারুল আজহার বাংলাদেশ' বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সর্বত্র সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে, গতানুগতিক ব্যবস্থার বাইরে এসে উন্নত মানের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করছি। ইতোমধ্যে আমাদের মাধ্যমে কুরআন, হাদিস, আরবী, ফিকহ, হাতের লেখা, ইংরেজি সহ ডজনখানেক গুরুত্বপূর্ণ কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।"
এছাড়াও, মিশরে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন—"আপনারা সবাই দারুল আজহার বাংলাদেশের পাশে থাকুন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ভালোবাসার মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করুন।
উল্লেখ্য যে, পড়ুন... শুরুতে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মিশরের রাজধানী নিউ কায়রোর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী ৫৬ তম 'কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা'। প্রতি বছররের ন্যায় এবারও অংশ নিচ্ছে ৮০টি দেশের ১৩৪৫টি প্রকাশনা সংস্থা ও ছয় হাজার ১৫০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল।
১৯৬৯ সালে কায়রো শহর প্রতিষ্ঠার ১ হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে আরব বিশ্বের প্রাচীন এ আন্তর্জাতিক বইমেলার শুরু হয়। কালক্রমে এর পরিধি ও সমৃদ্ধি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বর্তমানে কোনো কোনো সমীক্ষায় একে ফ্রাঙ্কফুট বই মেলার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বই মেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন