মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় ১০টি খাতে সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে প্রয়োজন গ্লোবালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি।
দেশটির সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল অ্যায়ারোস্পেস, কেমিক্যালস, ইলেকট্রনিকস, এনার্জি পাওয়ার, যোগাযোগ প্রযুক্তি, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল, খাদ্য উৎপাদন, সার্ভিস, গ্লোবাল বিজনেস সার্ভিসেস তথ্য, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসার মতো উল্লেখযোগ্য।
মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০টি খাতে মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মালয়েশিয়ান কর্মীর চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে।
১৮ নভেম্বর ট্যালেন্টকর্প অধ্যয়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং বলেছেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল কর্মক্ষেত্রে মালয়েশিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটালাইজেশন গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটালাইজেশন এবং সবুজ অর্থনীতির উত্থানের প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়ানদের প্রযুক্তিকে জীবিকার জন্য হুমকি হিসেবে নয় বরং এটি গ্রহণ করা উচিত। এগুলো এমন উপকরণ যা মানুষের সক্ষমতা বাড়াতে, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং সহযোগিতার পথ খুলে দিতে পারে।
পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, এই খাতগুলো অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ এগুলো সম্মিলিতভাবে মালয়েশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬০ শতাংশে অবদান রাখে এবং দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের মতো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। মালয়েশিয়া এ সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য, ট্যালেন্টকর্প মাইমাহির নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে যা গাইডেন্স ও ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ডস, স্কিলস ম্যাপিং, অ্যান্ড ক্যারিয়ার পাথওয়ে তৈরিতে সহায়তা করবে।
এছাড়া, এটি ফিউচার স্কিলস ট্যালেন্ট কাউন্সিল দ্বারা পরিপূরক, যা ইন্ডাস্ট্রি লিডার্সদের, সরকারি সংস্থা এবং একাডেমিক দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলার জন্য একত্রিকরণে কাজ করে।
মালয় মেইল জানিয়েছে, ট্যালেন্টকর্পের ছয় মাসে সম্পন্ন হওয়া এক গবেষণায় উঠে এসেছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ১০টি প্রধান খাতে ৬,২০,০০০ চাকরি সৃষ্টি হতে পারে যা দেশজ কর্মীদের ১৮ শতাংশ দক্ষতার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মুখোমুখি হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ১২ লাখ চাকরিকেও প্রভাবিত করতে পারে যার ফলে মোট ১৮ লাখ কর্মীদের এ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন দক্ষতা বৃদ্ধি।
ট্যালেন্টকর্পের গবেষণায় হাইলাইট করা ১০টি প্রধান খাত ছাড়াও মোট ৬০টি নতুন উদীয়মান পেশার তালিকা করা হয়েছে, যার ৭০ শতাংশ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ২০ শতাংশ টেকসই এবং গ্রিন ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, সাস্টেইন স্পেশালিস্ট এবং ড্রোন পাইলটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশাগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে গ্লোাবালাইজেশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় এ খাতগুলোতে বাংলাদেশ সুযোগ নিতে পারে বলেছেন দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষকরা।
মন্তব্য করুন