১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় লন্ডনের সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে শহরের মাইল এন্ড পার্ক এর দ্য আর্ট প্যাভিলিয়ন সেন্টারে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা দ্বাদশ বাংলাদেশ বইমেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিলেতের বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সেতুবন্ধন রচনা করে এই বহুজাতিক সমাজে বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারকে আরো বেগবান করতে ২০০৯ সালে গঠিত হয় সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ।
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার এক বছরের মাথায় ২০১০ সালের ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিলো তিন দিনব্যাপী প্রথম বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। তখন থেকে লন্ডনে বই মেলার শুরু হয়েছিলো।
১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ২ দিনব্যাপী ঊক্ত বই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হেমলেটস এর স্পিকার সাইফ উদ্দিন খালেদ, বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি শামিমা আজাদসহ লন্ডনের এবং অন্যান্য দেশের বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, গুণীজনরা।
বক্তারা বলেন, বইমেলা একটি জাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং সেই জাতিকে করে সম্মানিত। নানান প্রতিকূলতার মুখে বিদেশের মাটিতে যারা এ আয়োজন করেন তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ তারা মহতী কাজের সাথে লিপ্ত আছেন।
এবারের মেলায় মোট ১২টি বইয়ের স্টল রয়েছে । এখানে সব বয়সের মানুষের সমাগম ঘটেছে। কেউ বই কিনছেন ,কেউ নাচ দেখছেন, কেউ বা কবিতা আবৃত্তি শুনছেন, কেউবা আবার স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন ।
সব মিলিয়ে মেলা একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। মেলার মধ্যে থাকছে আলোচনা পর্ব, কমিটি পরিচিতি, তৃতীয় বাংলা ‘র মোড়ক উম্মাচন, সাহিত্য সম্মাননা পদক প্রদান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সেমিনার, বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত নতুন বইয়ের উম্মেচন, কবি পরিচিতি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ, নতুন প্রজন্মের অনুষ্ঠান, পয়েট্রি ইন আদার ল্যাংগুয়েজ, প্রকাশকদের সাথে মতবিনিময় ও সম্মাননা স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সমাপনী অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
প্রতিবছরের মত এবারের সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য সাহিত্য পদক লাভ করেন ফারুক আহমেদ রনি। এই পদক প্রাপ্তিতে তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এটি তার কাজের স্বীকৃতি, তিনি এই সম্মানের জন্য সম্মিলিত সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এইরকম সম্মান জানালে গুণীজনের সৃষ্টি হবে সমাজে।
সংগঠনের সভাপতি মইনুর রহমান বাবুল জানান, এবারের বইমেলায় তারা বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাড়া পেয়েছেন এবং সবাই অংশগ্রহণ করছেন।
সাধারণ সম্পাদক একেএম আব্দুল্লাহ জানান, এবারের বইমেলায় প্রকাশক এবং বই ক্রেতার উপস্থিতি অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি এবং সে জন্য আমাদের সব রকমের প্রস্তুতি আছে।
এই মেলার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার লাভ করবে এই প্রত্যাশা করেন এদেশের সাধারণ ব্রিটিশ বাঙালিসহ মেলার আয়োজকরা।
মন্তব্য করুন