শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসিলিয়ায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন

হাকিকুল ইসলাম খোকন
  ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩১

বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসিলিয়াতে অত্যন্ত আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে শুভ নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে।

দূতাবাস কর্তৃক আয়োজনের শুরুতেই বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা। 

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের ধারক এসো হে বৈশাখ গানটি উপস্থিত সকলকে নিয়ে সমবেতভাবে গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। 

এছাড়াও নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য দূতাবাস চত্বরকে বর্ণিল আলপনা, বেলুন, ফেস্টুন, পোস্টার, ফুল দিয়ে সাজানো হয় যা দূতাবাস প্রাঙ্গণকে এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত করে। 

মিশনের সকল সদস্য এবং অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সকলেই পরিবারসহ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রঙিন পোশাকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন। উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় পুরস্কারসহ খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। বিপুল উৎসাহ ও আনন্দের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীরা খেলাধূলায় অংশ নেন।
 
রাষ্ট্রদূত এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং জুলাই আগস্ট গণভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ এক বর্ণাঢ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক উৎসাহ ও প্রাণবন্ত পরিবেশে বাংলাদেশিরা উদযাপন করেন। 

বিদেশে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অভিভাবকদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানে উজ্জীবিত হয়ে বৈষম্যহীন, সুখী ও আনন্দপূর্ণ  বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপস্থিত সকলকে অবদান রাখার অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত বক্তব্য শেষে খেলাধূলায় বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করেন।
 
উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রবাসী শিশু কিশোরসহ অনেকেই নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানস্থলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, হস্তশিল্প, এবং পান্তা-ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও মিষ্টান্নসহ বাংলাদেশী খাবারের স্টল স্থাপন করা হয়। এমন বর্ণাঢ্য উৎসব আয়োজনে বিদেশি অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং নাচ, গান ও দেশীয় খাবার উপভোগের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণ একটি উৎসবমুখর দিন উদযাপন করেন।

মন্তব্য করুন