ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানে সুখ-দু:খের ভাগাভাগি, ঈদ মানেই আত্মার সাথে আত্মার মিলন। ঈদুল ফিতর নিয়ে মিশরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যখন নিজেদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে ঘিরে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করছিল। ঠিক তখনই আল-আজহারে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ- প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশন'র (BPFO) স্বেচ্ছাসেবকগন আয়োজন করছিলো মিশরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য ঈদ উদযাপনের।
সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রোর হাদিকাতুদ দাওলিয়ায় (আন্তর্জাতিক উদ্যান) পার্কে আয়োজিত এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন মিশরে আশ্রয় নেওয়া শতাধিক ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পরিবার। যারা বর্বর ইসরাইলীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরের বুকে। এই ঈদ উদযাপনটি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয, এটি ছিল সহমর্মিতার প্রতীক, সংহতির বার্তা, এবং একসাথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকারের ঘোষণা। আল-আজহার শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদের সঞ্চালনা ও আবু সায়েমের কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রতিটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য ছিলো একটি করে ঈদ উপহারের বিশেষ খাম, সুস্বাদু খাবার, শিশুদের জন্য বাহারি রংয়ের খেলনা ও ঈদ সালামী।
BPFO-এর সভাপতি উসামা বিন শফিক তার বক্তব্যে বলেন এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা বার্তা দিতে চাই ফিলিস্তিনের জনগণ একা নয়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাশে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
BPFO-এর সেক্রেটারি মারুফ হোসাইন সাদ্দান তার বক্তব্যে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবো।
মিশরে দৈনিক চাঁদপুর প্রতিনিধি' আফছার হোসাইন BPFO এর সভাপতি উসামাকে ঈদের বিশেষ উপহার খাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটা একান্ত গোপন বিষয়। আল্লাহর সাথে তার বান্দার লেনদেন। তবে এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি ঐ খামে যা ছিলো তা আমাদের ফিলিস্তিনি অতিথিদেরকে খুশি করবে।
ফিলিস্তিনিদে উদ্বাস্তু পরিবারদের নিয়ে ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন BPFO-এর এক্সিকিউটিভ কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ, ফাউন্ডিং মেম্বার্স, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।
মন্তব্য করুন