মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

আজিজুল আম্বিয়া, লন্ডন থেকে
  ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৫২
ছবি-সংগৃহীত

লন্ডন, ২৭ মার্চ – বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লন্ডনের বার্কিং অ্যান্ড ডাগেনহাম কাউন্সিলের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ২টায় বার্কিং টাউন স্কয়ারের টাউন হলের সামনে কাউন্সিলের মেয়র মঈন কাদেরীর নেতৃত্বে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় কাউন্সিলর, সাংবাদিক, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরেন মেয়র মঈন কাদেরী, কাউন্সিলর ডমিনিক টুমি এবং কাউন্সিলর রাজিনা রহমান। এরপর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে টাউন হলের সামনে সগৌরবে উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজের পতাকা। বিদেশের মাটিতে জাতীয় পতাকার এমন সম্মানজনক উত্তোলন নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে এবং বিদেশিদের মাঝেও বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে।

পতাকা উত্তোলনের পর টাউন হলে মেয়রের সভাপতিত্বে এবং কাউন্সিলর মুহিব চৌধুরীর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর অজান্তা দেব রায়, ফারুক চৌধুরী, সদরুজ্জামান খান, গিয়াস উদ্দিন মিয়া, ইডনা ফারগস, ডেপুটি লিডার সায়মা আশরাফ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব স্মৃতি আজাদ, সাংবাদিক ড. আজিজুল আম্বিয়া এবং ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রব মিন্টু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো আপসের বিষয় নয়, এটি রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবময় ইতিহাস। নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই দেশের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনতার মূল্য বুঝতে পারে এবং দেশকে ভালোবাসতে শিখে। বিদেশি অতিথিরাও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ জাতির সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এমন আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন