শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

মালয়েশিয়ায় ঈদকে সামনে রেখে পুলিশের বিশেষ অভিযান

আহমাদুল কবীর
  ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৪
ছবি-সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন ইসমাইল বলেছেন, অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ দেশে চলে যাওয়া উচিত। ঈদে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক অবৈধ প্রবাসীদের প্রত্যাবাসন কর্মসূচির সুবিধা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, যা এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া যারা অবৈধভাবে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করবে তাদের মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত বিশেষ অভিযানের অধীনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা করা এবং মালয়েশিয়ার জলসীমায় অনুপ্রবেশ রোধ করা।

এদিকে চলমান প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের।

সোমবার (১০ মার্চ) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

দেশটির নিউস্ট্রিট টাইমস জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসীরা নাম নিবন্ধন করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।

এর আগে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবেশ এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয় দেশটির সরকার।

প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে কতজন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন, তা জানা যায়নি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, যারা এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ফিরছেন বিশেষ করে বাংলাদেশি, তাদের বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদের অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে এসে।

এদিকে, প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চলাকালীন অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যে কোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন পরিচালক।

মন্তব্য করুন