বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পেঁপে চাষে বাজিমাত ইসমাইলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৫

ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রথমবারের মতো পেঁপে চাষ করে মো. ইসমাইল হোসেন নামে এক কৃষক ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকার অচিমউদ্দিন মাতাব্বর বাড়ির এই কৃষক নিজ বাড়ির আঙিনায় ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন।

কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নতমানের বাবু হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করেন কৃষক ইসমাইল হোসেন। এরইমধ্যে তিনি নিজের ক্ষেত থেকে অন্তত ১০ মণ কাঁচা পেঁপে বাজারে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বাজারে এসব পেঁপে সবজি হিসেবে বিক্রি করায় দামও ভালো পাচ্ছেন তিনি।

পেঁপে চাষি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে প্রথমবারের মতো নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ শুরু করেছি। জমিতে চারা লাগানোর ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই গাছে ফল এসে যায়। একইসঙ্গে বিক্রিরও উপযোগী হয়। অতিবৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় গাছে অনেক পেঁপে রয়েছে। এরইমধ্যে আমি ১০ মণের মতো কাঁচা পেঁপে বাজারে বিক্রি করেছি। এখনো গাছের অবস্থা অনেক ভালো। আশা করছি আগামী আরো ১০ মাস এইসব গাছ থেকে পেঁপে বিক্রি করতে পারবো। সবমিলিয়ে এই ৫০ শতাংশ জমি থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো পেঁপে বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

এই পেঁপে চাষি আরো জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করতে বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক এবং নেট খরচ বাবদ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাড়ির আঙিনায় পেঁপের ক্ষেত হওয়ায় শ্রমও কম দিতে হচ্ছে। এছাড়া ইচ্ছা হলে অবসর সময়ে ক্ষেতের গাছগুলোর পরিচর্যা করার সুযোগ পাচ্ছি। একটু সতর্কতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এই পেঁপে চাষ করলে ভালো লাভবান হওয়া সম্ভব। আগামীতে জমির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করে পেঁপে চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

এদিকে চাষি ইসমাইল হোসেনের সফলতা দেখে এরইমধ্যে পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় অনেক যুবক এবং কৃষকরা।

মো. আল-আমিন এবং মো. শাহিন নামে দুই যুবক বলেন, ইসমাইল মিয়া প্রথমবার তার বাড়ির আঙিনায় নিজের জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতে অনেক পেঁপে রয়েছে। এসব পেঁপে বাজারে বিক্রি করে তিনি ভালো দামও পাচ্ছেন। প্রথমবার পেঁপে চাষ করেই তিনি কম খরচে ভালো লাভবান হবেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তাই আমরাও ভাবছি সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে নিজেরাই এই পেঁপে চাষের উদ্যোগ নেব।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দাস জানান, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চাষ করতে আমরা কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষক ইসমাইল হোসেনকে পেঁপে চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি আমাদের পরামর্শ মেনে প্রথমবারের মতো পেঁপে চাষ করে ভালো সফলতা পেয়েছেন।

উপ-সহকারী এই কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, আমরা আশা করছি কৃষক ইসমাইল হোসেনের এই সফলতা দেখে স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হবেন। কেউ আগ্রহী হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকেও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

মন্তব্য করুন