ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানায় আমির হোসেন নামে এক কৃষক প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।
তার ক্ষেতে এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ রয়েছে। এসব তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকার মতো। শীতকাল ছাড়া বছরের যেকোনো সময় দুই থেকে তিনবার এই তরমুজ চাষ করা যায়।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো নিজের ২৪ শতাংশ জমিতে ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ রোপণ করেন কৃষক আমির হোসেন। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) সহযোগিতায় বীজ রোপণের পর দুই মাসের মাথায় তিনি তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন।
কৃষক আমির হোসেন বলেন, প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি। একটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৫ কেজি। এছাড়াও এসব তরমুজ চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দোকানিরা আমার কাছ থেকে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আগে আমি সবজি চাষ করতাম। বাজারে বিদেশি জাতের এই ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজের দাম ভালো হওয়ায় এই তরমুজ চাষে আগ্রহী হই।
পরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ)’ সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এই তরমুজ চাষ করে ব্যাপকভাবে সফলতা পেয়েছি। আগামী বছর জমির পরিমাণ আরো বাড়িয়ে বড় পরিসরে এই ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করবো। আশা করছি আগামীতেও ভালো লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ।
অন্যদিকে, কৃষক আমির হোসেনের এই তরমুজ চাষে সফলতা দেখে ইতোমধ্যেই নতুন করে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অনেকে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, এই তরমুজ চাষে খরচও কম। আবার অসময়ে হওয়ায় এই তরমুজের বাজারেও দাম অনেক ভালো। যার জন্য কম শ্রম ও খরচে ভালো লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই আমরাও আগামীতে এই তরমুজ চাষের কথা ভাবছি।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি তরমুজ চাষি আমির হোসেনের ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ)’ কৃষি সম্প্রসারণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এই ব্ল্যাক বেবি তরমুজ বেশি মিষ্টি।
পরিবার উন্নয়ন সংস্থার (এফডিএ) সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকরা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারবেন। আশা করছি; সামনে এই তরমুজ চাষ স্থানীয়দের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়তা পাবে। আগামীতে চরফ্যাশন উপজেলায় ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষিও আরো বাড়বে।
মন্তব্য করুন