শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

মাত্র একটি বইয়ের দাম ৯ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০:৪০
ছবি- সংগৃহীত

বই বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান জিনিসের মধ্যে একটি। তবে একটি বইয়ের দাম ৯ কোটি টাকা শুনে একটু অবাক হবেন বৈকি।

তবে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটি সত্যি। বইটি ভূতের বই হিসেবেই পরিচিত। যা সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকায়। বইটি প্রথম ছাপা হয়েছিল ১৮১৮ সালে।

ব্রিটিশ এক নারী লেখক মেরি শেলির লেখা এই বই। ১৮১৮ সালে প্রকাশিত বইটির একটিমাত্র কপিই ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। আর সেই বইটিই এবার উঠল নিলামে। তারপরই ঘটল অভাবনীয় ঘটনা। নিলামে বইটির দাম উঠলো ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা (ডলারের দাম ১১৭ টাকা ধরে)!

তবে এখন এতো দাম হলেও ১৮১৮ সালে কিন্তু অন্যান্য বইয়ের মতোই অল্প দামে বিক্রি হয়েছে। আবার সে বছরে প্রকাশিত এমন বহু বই ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলোর দাম কিন্তু এমন আকাশছোঁয়া হয়নি। এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, তাহলে এই বইটির মূল্য এত টাকা দাঁড়াল কেন?

বইটি ব্রিটিশ লেখক মেরি শেলি-র লেখা। মাত্র ২১ বছর বয়সে লেখা এই বই আজও দারুণ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। বইটির নাম ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন: অর, দ্য মডার্ন প্রমিথিউস’। ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন এমন এক চরিত্র, যা আজও বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। বারংবার নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের নাম।

১৮১৮ সালে প্রকাশিত এই বইটির প্রথম প্রকাশিত কপিগুলোর মধ্যে ৩টি কপি আজও রয়ে গেছে। গোলাপি মলাটে এই ৩টি কপির আবার একটিমাত্র কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল। এবার শেষমেশ সেটাই নিলামে উঠল।

একটি কপি ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকলেও বাকি ২টি রয়েছে নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে। ফলে পৃথিবীতে একটিমাত্র কপি হওয়ার কারণেই এই বইটির দাম পৌঁছেছে ৯ কোটিতে। বইটির মালিক স্ট্রুটজ ১৯৭৫ সালে অন্য একজনের থেকে বইটি কিনেছিলেন।

বইটি ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নামের একজন তরুণ বিজ্ঞানীকে নিয়ে লেখা। যিনি একটি অপ্রথাগত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় একটি বুদ্ধিমান প্রাণী তৈরি করেন। গল্পটি শুরু হয় ভিক্টরের শৈশব থেকে।

ইতালির নেপলসে, একটি ধনী জেনেভান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ভিক্টর। অল্প বয়স থেকেই ভিক্টরের বিশ্বকে বোঝার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। তিনি অ্যালকেমিস্টদের তত্ত্ব নিয়ে চিন্তা করতেন। যদিও তিনি যখন বড় হন তখন তিনি বুঝতে পারেন যে এই ধরনের তত্ত্বগুলো যথেষ্ট পুরোনো।

ভিক্টরের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার বাবা-মা এলিজাবেথ ল্যাভেঞ্জা নামের একটি কন্যা শিশুকে দত্তক নেন, যে ছিল একজন বহিষ্কৃত ইতালীয় সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির অনাথ কন্যা। যাকে ভিক্টর বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন। একসময় ভিক্টর একটি বুদ্ধিমান জীব তৈরি করে ফেলেন ল্যাবে। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্পটি।

শেলির যখন ১৮ বছর বয়স তখন তিনি গল্পটি লেখা শুরু করেছিলেন। বইটির প্রথম সংস্করণটি লন্ডনে ১৮১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল, যখন শেলির বয়স ছিল ২০। যদিও প্রথম সংস্করণে শেলির নাম ছিল না। তার নাম প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল দ্বিতীয় সংস্করণে, যা ১৮২১ সালে প্যারিসে প্রকাশিত হয়েছিল।

মন্তব্য করুন