শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

তীব্র গরমে শীতের আমেজ পেতে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের ৫ স্পটে

প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ০৫ মে ২০২৪, ২০:৪০

বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে দেশে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দক্ষিবঙ্গও জ্বলছে তাপপ্রবাহে। অথচ সে দেশের উত্তরবঙ্গে এখনো নাকি গায়ে কম্বল জড়াচ্ছেন সবাই।

চাইলে আপনিও গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিংয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দার্জিলিংয়ের কোন কোন স্পটে গেলে এ গরমে স্বস্তি পাবেন ও ঠান্ডায় কাঁপবেন-

গীতখোলা

কালিম্পংয়ের কোলে অবস্থিত গীতখোলা। পাইনে ঘেরা ছোট্ট জনপদ। ‘খোলা’ মানেই নদী। তবে, এই গীতখোলা তিনটি ঝরনার মিলনক্ষেত্র। গীতখোলা থ্রি সিস্টার ওয়াটারফলস নামে পরিচিত এই জায়গা।

সেখানে আছে ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশদের তৈরি লোহার ব্রিজ। গীতখোলা ভিউ পয়েন্টের খুব কাছেই আছে নকডারা হ্রদ। গীতখোলা বেড়াতে গেলে রাত কাটাতে হবে লুনসেল কিংবা নকডারাতে।

ঋষিখোলা

পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলা ঋষি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্র। কালিম্পং থেকে মাত্র ৩৬ কিলমিটার দূরত্বে অবস্থিত ঋষিখোলা।

নদীর পাশেই আছে থাকার জায়গা। পেডং, আরিতার, সিলারিগাঁও, ইচ্ছেগাঁওয়ের মতো বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র আছে ঋষিখোলার খুব কাছেই। আছে নদীর ধারে ক্যাম্পিং করার সুযোগও।

সিংমারি

দার্জিলিংয়ের ম্যাল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে এই অফবিট জনপদ। সিংমারির কোলে দাঁড়িয়ে দেখা যায় পুরো শৈলশহরকে। চা বাগানে ঘেরা পুরো গ্রাম।

কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জও দেখা যায় সেখান থেকে। আছে ছোট্ট মনাস্ট্রি। এই গ্রাম থেকে দার্জিলিংয়ের রোপওয়ে, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং মিউজিয়াম, সিংটমের চা বাগান সবই ঘুরে নিতে পারবেন।

খারকা গাঁও

কালিম্পংয়ের আরেকটি অফবিট ডেস্টিনেশন হলো খারকা গাঁও। ডেলো থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটারের রাস্তা। সেখানে আছে ১৯৭৬ সালের প্রতিষ্ঠিত জাঙ ধক পালরি মনাস্ট্রি।

খারকা গাঁওয়ের অন্যতম আকর্ষণ হল পঞ্চমী জলপ্রপাত। এছাড়া খারকা গাঁও থেকে ঘুরে দেখতে পারেন ফিক্কালে গাঁও, রামধুরা, ইচ্ছে গাঁও, ডেলো পার্ক, লাভা, লোলেগাঁওয়ের মতো বিভিন্ন জায়গা।

কাফের গাঁও

কালিম্পংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র কাফের গাঁও। লাভা ও লোলেগাঁওয়ের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত কাফের গাঁও। লোলেগাঁও থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটারের পথ। কাফের নামের একটি ফুল পাওয়া যায় এই গ্রাম।
সেখান থেকেই গ্রামের নাম কাফের গাঁও। এই পাহাড়ি গ্রাম থেকেও কাঞ্চজঙ্ঘা দেখা যায়। লাভা, লোলেগাঁওয়ের পাশাপাশি এখান থেকে চারখোল, ঝান্ডিদাঁড়া ইত্যাদি জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন।

মন্তব্য করুন