শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

মিছিলে সবসময় সামনে থাকতেন শহীদ রিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯

জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে শহীদ হন মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ রিয়াজ রাঢ়ী (২৪)। রিয়াজকে হারিয়ে অসহায় পরিবারটির দাবী ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিচার।

শহিদ রিয়াজের পরিবার সূত্র জানায়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথান আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ সামনের সারিতে থাকতেন। ছাত্র-জনতার এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে রিয়াজ মিছিলের সামনের সারিতে অংশ নিয়ে শহিদ হন। 

বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হক রাঢ়ী ও শাফিয়া বেমের চার ছেলে। বড় ছেলে মো. রেজাউল, মেঝ ছেলে মো. রাকিব, সেঝ ছেলে মো. রাসেল ও ছোট ছেলে মো. রিয়াজ। 

রিয়াজ জেলার মুলাদী সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি রিয়াজ ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকায় তার খালার তৈরি পোশাকের দোকানে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত যোগ দিতেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে শহিদ রিয়াজের বড় ভাই মো. রেজাউল ও মা শাফিয়া বেগম বলেন, মুলাদী সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী রিয়াজ ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৭ আগস্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ হন রিয়াজ। কেইস আইডি নম্বর ২২৭১৭। ১৮ আগস্ট রোববার নামাজে জানাজা শেষে রিয়াজকে নিজ বাড়ি সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে শহিদ রিয়াজের বড় ভাই মো. রেজাউল আরও বলেন, ১৭ আগস্ট ছোট ভাই রিয়াজ শহীদ হওয়ার পর বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দুই বান ডেউটিন, ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ২৩ নভেম্বর ২০২৪ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিচার চাই আমরা।

মন্তব্য করুন