বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু

প্রবাহ বাংলা নিউজ
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা ও উপস্থাপিকা জাহারা মিতুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের পাতায় চলছে বেশি আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই সাবেক সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নায়িকার সম্পর্ক নিয়ে নানা ‘চটকদার’ শিরোনামে খবর প্রচার হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।

যেখানে দাবি করা হয়, ওবায়দুল কাদেরকে নিজের অভিভাবক মানতেন মিতু। তাদের দু’জনের মধ্যে ছিল বেশ ভালো সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম আরও একধাপ এগিয়ে ‘নায়িকা জাহারা মিতুর স্পর্শ ছাড়া ঘুমাতেন না ওবায়দুল কাদের’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ ভিডিও প্রকাশ করে।

এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা আজব স্ক্রিপ্ট দিয়ে শুরু আজকের এই অবস্থা, একটা তৃতীয় সারির অনলাইন পোর্টাল যার নামও আমি এর আগে কখনো শুনিনি। হয়ত ওই নিউজটাই তাদের সবচেয়ে দ্রুত ভিউ পাওয়া একটি নিউজ।’

মন্ত্রীপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘কোনো সোর্স কিংবা প্রমাণ ছাড়াই মন্ত্রীপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর মতন দুর্বল স্ক্রিপ্ট, সেইসাথে দুর্দান্ত কাস্টিং। আর কি লাগে? ভিউয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। যখন সোর্স কি জিজ্ঞাসা করা হলো, উত্তর এলো সবাইতো বলে। এই সবাইতো বলে, এটা নাকি কোনো সোর্স?’

নিউজ লেখার বিষয়ে জাহারা মিতুর ভাষ্য, ‘অথচ সবাই জানলোই তার ওই স্ক্রিপ্ট দিয়ে, তার আগে কেউ কিছু জানেই না। যাই হোক, খুঁজতে থাকলাম এই স্ক্রিপ্ট এর রচয়িতা কে? একটি ছবি পেলাম হাতে। রচয়িতার ছোট্ট মেয়ে কোলে বসে আছে। বাবার কোলে মেয়ে। আমার আব্বু নেই, তাই হয়ত ছবিটা দেখে রাগ কিছুটা কমে গিয়েছিলো। ভেবেছিলাম ছবিটা দিয়েই পোস্ট দিবো, সাংবাদিকতার লাল-হলুদ-নীল রং নিয়ে কথা বলবো। তবে থেমে গেলাম এই ছোট্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে।’

পোস্টের শেষে মিতু লিখেছেন, ‘দোয়া করি মা, তোমার বাবা যেভাবে একটা মেয়ের বদনাম রটিয়েছে তা তোমার ভাগ্যে কখনো না জুটুক। তোমার নামে কেউ কখনো মিথ্যা অপবাদ না দিক, আল্লাহ যেন তোমাকে কোনো পাড়া-প্রতিবেশীরও মিথ্যা অপপ্রচারের ভাগীদার না করে। বড় হও, তবে বাবাকে এসব অপরাধের জন্য ঘৃণা করো না, হয়ত তোমার মুখে ভাত তুলে দিতেই আজ তার এই অবস্থা।’

মন্তব্য করুন